কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হারে ভোট পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বলেছেন, ‘মানুষ এবার বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব না। তাই এ বছর জনগণ বেশি ভোট দিয়েছে।’
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট শেষে নববর্ষের প্রথম দিন সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে যান অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি নিজে এবারের ভোটে অংশ নেননি। তার আসনে লড়েছেন ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেন। জিতেছেন বিপুল ভোটে।
এবারের নির্বাচনে সারাদেশেই আওয়ামী লীগ ও তার জোটের শরিকদের জয়জয়কার। নৌকায় দলের নিজের প্রার্থী হেরেছে কেবল তিনটি আসনে। এর একটিতে পরাজয় হয়েছে আবার দলের বিদ্রোহীর কারণে। আর নৌকা দেওয়া শরিকরা হেরেছেন চারটি আসনে। এর দুটিতেও দল ও জোটের বিদ্রোহী থাকা এই পরাজয়ের কারণ।
এই অভাবনীয় ফলাফলের কারণ ব্যাখ্যা করে মুহিত বলেন, ‘২০০১ সালে ভালো কাজ করেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। দেশের মানুষের ধারণা এবার পাল্টেছে। তারা বুঝতে পেরেছে সরকারেরর ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নয়ন হয়।’
‘গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি ভোট পড়েছে। উন্নত দেশগুলোতে ৪০ শতাংশ ভোট হলেই তারা খুশি হয়। আর আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ ভোট হলে আমরা খুশি। তবে এবার ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে, এতে বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’
আগামী পাঁচ বছরে দেশের অর্থনীতি অসাধ্য সাধন করবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না। তবে দারিদ্র্যমুক্ত প্রতিটা দেশেই কিছু সংখ্যক দরিদ্র সবসময় সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকে। দারিদ্র্য হ্রাসের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মালয়েশিয়া, তাদের বর্তমান দারিদ্র্য হার ৭ শতাংশ। আমাদের দেশেও প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের মতো কিছু দরিদ্র থেকে যাবে। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য আমাদের ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী পাঁচ বছরেই এটা করা সম্ভব হবে।’
নির্বাচন না করলেও প্রধানমন্ত্রী চাইলে আরো এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন মুহিত। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথাই আমি ফেলতে পারি না।’