জেড এম শামসুল :
সিলেট অঞ্চলে গত বছরে ৮৬৮ জনের অপমৃত্যু হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে হত্যা, আত্মহত্যা, সড়ক দুঘর্টনা, অগ্নিদগ্ধ, ভূমিধস, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও পানিতে ডুবে এসব অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে ৯১ জন, ফেব্র“য়ারী মাসে ৭১ জন, মার্চ মাসে ৮৪ জন, এপ্রিল মাসে ৮৯ জন, মে মাসে ১০২ জন, জুন মাসে ৭৩ জন, জুলাই মাসে ৮৩ জন, আগষ্ট মাসে ৭৭ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৫১ জন, অক্টোবর মাসে ৫৫ জন, নভেম্বর মাসে ৫৮ জন ও ডিসেম্বর মাসে ৩৪ জন অপমৃত্যু ঘটে।
এসব অপমৃত্যুর মধ্যে সড়ক দুঘর্টনায় লাশ উদ্ধারই বেশী। গত ডিসেম্বর মাসে ৩৪ জনের অপমৃত্যু ঘটে। এদের মধ্যে ১ ডিসেম্বর জকিগঞ্জে সড়ক দুঘর্টনায় আব্দুল কুদ্দুস (৪৮) ও মাধবপুরে দুবৃর্ত্তদের হাতে রাশেদ মিয়া (৩৪) মারা যান। ২ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার এবং কমলগঞ্জে পুলিন দাস (৪৫) আত্মহত্যা করে। এদিন মাধবপুরে ভ্যান চাপায় নিলয় দাস (৮) নামের এক শিশু মারা যায়।
৩ ডিসেম্বর সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু আর্দ (৩)’র মৃত্যু ঘটে। ৪ ডিসেম্বর চুনারুঘাটে আইনজীবী মঈন উদ্দিন (৫০) আত্মহত্যা করেন। ৫ ডিসেম্বর বিয়ানীবাজারে দুবৃর্ত্তদের হামলায় ফাহিম (১০), সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে ডুবে বালু শ্রমিক আজিজুল হক (১৭) ও কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধী চেরাগ আলী (৭০) নামক এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার।
৬ ডিসেম্বর বিয়ানীবাজারে দুবৃর্ত্তের দেয়া পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ চিকিৎসাধীন বিনোদভূষন (৫২) এর মৃত্যু ঘটে। এদিন শহরতলীর কালারুখায় সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হাতে আব্দুল সাকিব (৩৬)’র মৃত্যু ঘটে। ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জুনেদ আহমদ (৩০) মারা যায়। ৯ ডিসেম্বর বটেশ্বরে ট্রাক চাপায় সাইফুল ইসলাম (১৫) নামক এক কিশোর মারা যায়। ১০ ডিসেম্বর কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হাতে গিয়াস মিয়া (৩৫) এদিন গোয়াইনঘাটে গরুচোরের হামলায় গৃহকর্তা গিরেন্দ্র বিশ্বাস (৫৪) মারা যান। ১২ ডিসেম্বর তামাবিল সড়কে ট্রাক চাপায় নুর উদ্দিন (৪৫) ও আব্দুল হান্নান (৬০) এবং জকিগঞ্জে নিখোঁজ হওয়া ফয়জুর রহমান (৬০) নামক এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার। ১৩ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মঞ্জুর আহমদ (১৪) ও বানিয়াচংয়ে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হাতে মতিউর রহমান (৩২)’র মৃত্যু ঘটে। ১৪ ডিসেম্বর নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে ফাল্গুনী দাস (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু ঘটে।
১৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমা থেকে অজ্ঞাতনামা (৪০) এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ও বাইপাস সড়কের ট্রাক চাপায় ভ্যান চালক গিয়াস উদ্দিন (৪০) এবং ছাতকে সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামক এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে। ১৮ ডিসেম্বর বাহুবল ট্রেনে কাটাপড়ে অজ্ঞাত (৪০) নামি এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ১৯ ডিসেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জে টিলাধসে শহীদ (৮) ও ফাহিমসহ (৪) ২ শিশু মারা যায়। ২৭ ডিসেম্বর শহরতলীর কান্দিগাঁওয়ে প্রতিপক্ষের হাতে প্রবাসী কয়ছর আহমদ (৩৫) মারা যান। ২৯ ডিসেম্বর ধর্মপাশায় প্রতিপক্ষের হাতে সাইফুল ইসলাম (৩৪) মারা যায়। ৩০ ডিসেম্বর বালাগঞ্জে নির্বাচনী সংঘর্ষে সোহেল মিয়া (৩০) মারা যান এবং ৩১ ডিসেম্বর জগন্নাথপুরে টলি চাপায় সোহান (৮) ও সুনামগঞ্জে সড়ক দুঘর্টনায় জুয়েল আহমদ (৪০)’র মৃত্যু ঘটে।