স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার বাঘরকলা গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া অটোরিকশা চালক কামরুল ইসলামের (১৮) লাশের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত দু’দিনে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামের আবদুর রউফ’র পুত্র আবদুস ছালাম (৩০), একই গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র নাজিম উদ্দিন (৩২) ও কোতোয়ালি থানার আল-মদিনা আবাসিক এলাকার রাকিব মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া আলফু মিয়ার পুত্র হাফিজুর রহমান (২৪)। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিবিদইল এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা ও নগরীর মদিনা মার্কেট থেকে ছিনতাই হওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধারসহ হাফিজুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে গতকাল সোমবার পুলিশ নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে। নিহত অটোরিক্সা চালক কামরুল বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের নূর উদ্দিন কলা মিয়ার পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার কেউনবাড়ি বাজার থেকে নিহত অটোরিকশা চালক কামরুল ইসলামের অটোরিকশা লালাবাজারের উদ্দেশ্যে ভাড়া করে ছিনতাইকারি দলের মূলহোতা আবদুস ছালাম ও নাজিম উদ্দিন। ওই দিন রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বাঘরকলা গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। নিহত অটোরিক্সা চালক রাতে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায়, সকাল থেকে কামরুলের সন্ধান বের করার জন্য খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার পরিবারের লোকজন।
এক পর্যায়ে নিহতের মামাতো ভাই বল্লবপুর গ্রামের নূর আলীর পুত্র জামিল আহমদ সকলকে জানায় শনিবার সন্ধ্যায় ছিনতাইকারী আবদুস ছালাম ও নাজিম উদ্দিন অটোরিক্সাসহ তাকে (কামরুল) রির্জাভ নিয়েছে বলে দেখেছে। এরই সূত্র ধরে রবিবার সকালে এইদুই ছিনতাইকারিকে আটক করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে লাশ শনাক্ত, হত্যার কাজে ব্যবহৃত চুরি ও অটোরিক্সা উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অটোরিক্সা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, অটোরিক্সা চালককে গাড়ি ভাড়া করে যারা নিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে চালকের এক নিকট আত্মীয় দেখতে পায়। গত রবিবার সকালে আটঘর গ্রামের আটক নাজিম উদ্দিনকে নিহত চালকের আত্মীয়-স্বজন ডেকে আনেন। এ সময় সে অটোরিক্সা চালককে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে ও তার সঙ্গে অপর জন আবদুস ছালাম ছিল বলে জানায়। এরপর এলাকাবাসী আবদুস ছালামকে আটক করেন। স্থানীয় জনতা আটককৃতদের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। এরপর আটককৃতদের নিয়ে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারে অভিযানে নামে। তাদের দেখানো মতে দক্ষিণ সুরমার থানার বিবিদইল এলাকার একটি ফসলি জমির পানি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে হয়। পরে নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় থেকে অটোরিকশা গাড়ি উদ্ধার ও হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়।