‘নারীর কথা শুনবে বিশ্ব, কমলা রঙে নতুন দৃশ্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেট আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৮ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও সিলেট জেলায় ২০১৮ সালে নির্বাচিত জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল হক। সিলেট জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক উত্তরপূর্ব-এর নির্বাহী সম্পাদক তাপস দাশ পুরকায়স্থ, রাজনীতিবিদ নাজনিন হোসেন, সালমা বাছিত, দৈনিক সিলেটের ডাক এর সিনিয়র রিপোর্টার এম আহমদ আলী।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহীনা আখতার। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিক সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে মিনারা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা লাকী, সফল জননী নারী হিসাবে শামসুন্নাহার চৌধুরী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী মোছাম্মৎ ছালেহা বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী আছিয়া খানম শিকদারকে সিলেট জেলার ব্যাছাইকৃত স্ব স্ব ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ৫ জন নারী জয়িতাকে জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ ২০১৮ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় ৫টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন তাহমিনা সুলতানা হেপী,পবিত্র গীতা পাঠ করেন কৃষ্ণা ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। আমরা সবাই মিলে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সাহস হারালে চলবে না, মনোবল অটুট রেখে লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে হবে। আজকে যারা জয়িতা হলেন তাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। তাদের অনগ্রসর নারীদের এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে। নারীকে আজ অবহেলিত বা পিছিয়ে নেই । বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। সকল বাধা অতিক্রম করে মহান স্বাধীনতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞপ্তি