কাজিরবাজার ডেস্ক :
যাদের মনোনয়ন দেওয়া যায়নি যাদের তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।
শুক্রবার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আহ্বান আওয়ামী লীগ সভাপতি। ‘বিএনপি-জামাতের হিংস্র থাবা থেকে’ দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে বাংলাদেশ টেকসই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তগ্রহণ করেছি। আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। আপনার ত্যাগ, শ্রম ও আন্তরিকতা সবকিছুই আমার বিবেচনায় আছে।’
চিঠিতে বলা হয়, সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মতামত, তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ এবং একাধিক জরিপের সুপারিশের ভিত্তিতে দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়ে ফরম কেনের চার হাজারের বেশি প্রার্থী। শেখ হাসিনা লেখেন, ‘রাজনৈতিক ত্যাগ, দক্ষতা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে প্রায় প্রত্যেকটি আসনেই ছিল একাধিক যোগ্য প্রার্থী। একাধিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করার কাজটি ছিল অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ।’
যাদের মনোনয়ন দেওয়া যায়নি যাদের প্রতি ‘আন্তরিকভাবে দুঃখও’ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক দলে পরিণত করার কাজে আপনার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও দেশের কল্যাণে আপনার নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকার জন্য আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি আপনার ভালোবাসা-আনুগত্য-বিশ্বস্ততা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয় লাভ করে আবারও বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে। সেই বিজয়ের অংশীদার হবেন আপনিও। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারো নেই।’
চিঠির শেষে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের গত এক দশকের অর্জিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংগঠনের একজন আদর্শবান, ত্যাগী ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও সার্বিক কর্মকা-ে আপনার স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।’