‘লাফিং গ্যাস’ দিয়ে নেশা করে তোপের মুখে ওজিলরা

182

ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
আর্সেনালের জার্মান তারকা মেসুত ওজিলকে শৃঙ্খলাপরায়ণ বলেই জানে সবাই। আর ধর্মপরায়ণতার কারণে মুসলিম বিশ্বে তার জনপ্রিয়তাও তুমুল। কিন্তু তুর্কি বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডারের গোপন ‘নেশা’র খবর ফাঁস করে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি সান। আর এই খবর জানতে পেরে ক্ষেপেছে গানাররা।
সান’র প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখে গেছে, মেসুত ওজিল, পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং, আলেক্সান্ডার লাকাজেতে, মাত্তেও গুয়েনদোউজিদের তারকারা বেলুন ব্যবহার করে মুখ দিয়ে ‘নাইট্রাস অক্সাইড’ নিচ্ছেন। এই গ্যাসের আরেক নাম ‘লাফিং গ্যাস’। সঙ্গে চলছে মদিরা উৎসব। খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগ দেন ৭০ জন নারীও! বুঝুন অবস্থাটা।
পশ্চিমা বিশ্বে বেলুনের মাধ্যমে মাদক নেওয়াকে বলে ‘হিপ্পি ক্র্যাক”। এটি গ্রহণ করে চোখ উল্টে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন ওজিল। তার সঙ্গীদের অবস্থাও ছিল প্রায় একইরকম। এর মধ্যে ফরাসি মিডফিল্ডার গুয়েনদোউজি তো অজ্ঞানই হয়ে পড়েন। তবু ভালো অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। এই গ্যাস গ্রহণের ফলে হার্ট অ্যাটাক এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
তবে বেলুনে ‘লাফিং গ্যাস’ সবাই গ্রহণ করেননি। মিডফিল্ডার হেনরিখ মিখতারিয়ানকে আগ বাড়িয়ে ওজিল গ্রহণ করতে বললেও সায় না দিয়ে ললিপপ চুষতে থাকেন তিনি। তাছাড়া জার্মান ডিফেন্ডার সকোদ্রান মুস্তাফিকেও এই নেশায় যুক্ত হতে দেখা যায়নি।
ঘটনাটা গত আগস্টের। মৌসুম শুরুর কয়েকদিন আগে লন্ডনে ব্যক্তিগতভাবে আয়োজিত এই পার্টিতে অংশ নেন ওজিলসহ অন্যরা। পার্টির এই কীর্তি আর্সেনালের খেলায়ও প্রভাব ফেলে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে মৌসুম শুরু করে আর্সেনাল। পরে চেলসির বিপক্ষেও হারার পর অবশ্য টানা ২০ ম্যাচ ধরে অপরাজিত গানাররা।
এর আগে এধরনের অভিযোগ উঠেছিল ইংলিশ ফুটবল তারকা রহিম স্টার্লিং, সাইদো বেরাহিনো ও জ্যাক গ্রিলিশের মতো ফুটবলারদের বিরুদ্ধে।
এমন কুকীর্তি করেও এতদিন সব গোপন রেখেছিলেন ওজিলরা। যদিও এমন কাণ্ড ক্লাব জানে না এমনটা ভাবাও বোকামি হবে। আর্সেনাল অবশ্য সরাসরি এখনো কিছু বলেনি। তবে এটা নিয়ে খেলোয়াড়দের সতর্ক করা হবে জানিয়েছেন ক্লাবের প্রতিনিধি। আপাতত হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী ম্যাচ জিতে টানা জয়ের ধারা বজায় রাখার দিকেই মনোযোগ দিতে চান কোচ উনাই এমেরি। এরপর খেলোয়াড়দের নিয়ে বসবেন এই স্প্যানিশ কোচ।
তবে ওজিলরা এত সহজে পার পাবেন বলে মনে হয়না। কারণ, কোচ হিসেবে অনেক কঠোর এমেরি। পিএসজির কোচ থাকাকালীন খেলোয়াড়দের ফলের জুস খেতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। আর এবার তো সরাসরি ‘নেশা’। এবার কি হবে কে জানে। তবে ব্রিটিশ মিডিয়া এরইমধ্যে ওজিলদের নিয়ে সমালোচনা জারি রেখেছে। নাছোড়বান্দা মিডিয়া এত সহজে ছেড়ে দেবে বলেও মনে হয়না।