স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর কালারুকা গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে শাকিব খান (৩৩) নামে এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জালালাবাদ থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাকিব পুরান কালারুকা গ্রামের মৃত বাবুল খানের পুত্র। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিপক্ষ উসমান খানসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তকে আটকের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুরান কালারুকা গ্রামে গত এক মাস পূর্বে কওমী ও ফুলতলী মতাদর্শের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা নিয়ে প্রতিবেশী উসমান খান পরিবারের সঙ্গে শাকিব খানের পরিবারের পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শাকিব খান ব্যবসায়ীক কাজে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় উসমান খানের সঙ্গে কথাকটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত হন শাকিব খান। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে শাকিবকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের জের ধরে পাল্টা হামলায় একই গ্রামের নোমান খান (৩৫) ও সাহেল খান (৩৫) আহত হয়ে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের পরিবারের দাবি, শাকিব খানের পরিবারের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
নিহত শাকিব খানের চাচা জামাল খান জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী আলাউদ্দিন খানের বাড়িতে বৈঠকের পরই আমার ভাতিজার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে শুনতে পেরেছি। হামলাকারীরার শাকিবকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয়রা হামলাকারীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই শাকিরের দাফন শেষে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, পূর্বে ওয়াজ মাহফিল কেন্দ্রিক একটি বিরোধের জের ধরে হামলায় শাকির খান খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত উসমান খানসহ সন্দেহমূলকভাবে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।