কাজিরবাজার ডেস্ক :
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো ‘যেনতেন’ নির্বাচন যেন আর না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন সবাইকে ভোটকেন্দ্র পাহারা এবং সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। দেশে গণতন্ত্রহীন অবস্থা বিরাজ করছে দাবি করে সামনের নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে বলেছেন প্রবীণ এই আইনজীবী।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করেন ড. কামাল হোসেন ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে সরকার। এজন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তাই সবাইকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে। তারা যেন স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকার ভেবেছিল ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করবে। কিন্তু নির্বাচনে সব দল আসাই তারা অনিশ্চয়তায় পড়েছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই নির্বাচনে জনগণ তাদের মালিকানা ফিরিয়ে নেবে। আইন লঙ্ঘনের ঘটনা দেখলে মিডিয়া বড় ভূমিকা রাখবে। সরকারের কার্যক্রম মিডিয়া নজরে রাখবে। সরকারের লোকজন পক্ষপাত করলে মিডিয়া তা ধরিয়ে দেবে।’
ড. কামাল জানান, আগামী ৮ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আর ইশতেহার হবে একটাই এবং সব দলের সমন্বয়ে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বিএনপি নেতা বরকত উল্লা বুলু, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রমুখ।