কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচনী অপরাধের বিচার, লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোটের মাঠে থাকবেন দেড় হাজার জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইতিমধ্যে আচরণ বিধি প্রতিপালনে ছয় শতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও পরের দুই দিন মোট চারদিন মাঠে থাকবেন ৬৪০জন বিচারিক হাকিম। এছাড়া নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ২৪৪ জন বিচারিক কর্মকর্তাকে নিয়ে ১২২টি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ইসির পৃথক আদেশে এসব নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী, তার সমর্থক বা অন্য কেউ আইন ও বিধি লঙ্ঘন করলে তাদের সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে সাজা দেবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারা লেভেল প্লেইং ফিল্ড গঠনেও কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।
নির্বাচনে বিচারিক হাকিম ৬৪০ জন, ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে ২৪৪ জন ও ছয় শতাধিক নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রট সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। নির্বাচনী অপরাধ আমলে ও সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য মাঠে থাকবেন ৬৪০ জন বিচারিক হাকিম।
তিনশটি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটিতে দুই জন বিচারিক হাকিম আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। তারা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচার করবেন। উপজেলা বা উপজেলার অংশ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকার ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিটি উপজেলা বা উপজেলার অংশ বিশেষের জন্য একজন বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হবে। সব মিলিয়ে হাকিমের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৪০ জন।
নির্বাচন পূর্ব-অনিয়ম প্রতিরোধ, প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙ্গ তদারকি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি কমিটি নির্বাচনপূর্ব অনিয়মগুলো আমলে নিয়ে সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে শাস্তি ও জরিমানা করা হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে তিনশটি সংসদীয় আসনের জন্য ১২২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে একটি কমিটির জন্য দুই জন সদস্য অর্থাৎ ২৪৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে। সোমবার এসব কমিটি গঠনের চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন দেখভালে ছয় শতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি উপজেলায় এক জন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি তিন-চারটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে, সিটির বাইরে জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় এক/দুই জন করে এবং পার্বত্য এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত তিন থেকে চার জন উপজেলার জন্য এক জন করে নিয়োগ দিতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে নেমেছেন। তবে তাদের কার্যক্রম এখনও দৃশ্যমান হয়নি।