নৌকায় উঠতে পারলেন না অনেক হেভিওয়েটরাও

63
বাদ পড়া হেভিওয়েটরা।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন নির্বাচনে অনেকেই এবার নৌকায় ওঠতে পারলেন না বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতারা। এর মধ্যে বেশির ভাগই বয়স ও অসুস্থতার কারণে, কেউ আবার জনপ্রিয়তা হারানোর কারণে বাদ পড়েছেন। কেউ বা আবার বাদ পড়েছেন জোট-মহাজোটের ভোটের সমীকরণে।
রবিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি দেওয়া শুরু হয়।
বাদ পড়াদের তালিকায় সবার উপরে আছেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
তার সংসদীয় আসন ফরিদপুর-২ এ এবার জোটের জন্য রাখা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আসনটিতে নির্বাচন করতে পারেন জাকের পার্টির শীর্ষ নেতা মোস্তফা আমির ফয়সাল।
আরেক ভিআইপি সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্বাচন করবেন না বারবার ঘোষণা দিয়েছেন। তার বদলে আসনটিতে মনোনয়ন পেয়েছেন সহোদর ড. এ কে আবদুল মোমেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। মনোনয়নের চিঠি পেলেও তার কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিকল্প রাখা হয়েছে মো. মশিউর রহমান হুমায়ুনকে।
বাদের তালিকায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার ঢাকা-১৩ আসেন এবার নৌকার প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
ফরিদপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের আসনে সাবেক সচিব এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বুলবুলকে নৌকার টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এবার কপাল পুড়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ হ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের। তার আসন মাদারীপুর-৩ এ প্রার্থী করা হয়েছে দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর শরীয়তপুর-২ আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম।
শরীয়তপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপুকে।
ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন লক্ষীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। তার আসনে দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছে গোলাম ফারুখ পিংকুকে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীমন্ত্রী চাঁদপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের বিকল্প হিসেবে প্রার্থী রাখা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন।
জামালপুর-৫ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা আসনে বিকল্প রাখা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনকে।
এদিকে নানা ঘটনা ঘটিয়ে সমালোচিত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। নানা কারণে বিতর্কিত সাবেক ফুটবলারের নেত্রকোনা-২ আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরুকে। তিনি ওই আসনের সাবেক এমপি।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট রহমত আলীর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছে। তার আসন গাজীপুর-৩ নতুন মুখ ইকবাল হোসেন সবুজ।
গাইবান্ধা-৩ আসনের বর্তমান এমপিরও যাওয়া হচ্ছে না ভোটে। তার আসনটি জোটের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গুঞ্জন আছে এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন টিআই ফজলে রাব্বী।
ঢাকা-৫ আসনের বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার আসনে নতুন মুখ কাজী মনোয়ার হোসেন মনু।