সিলেটের রিটার্ণিং অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান। পুলিশ কর্তৃক নির্বাচনী কমী-সমর্থকদের মামলা-ওয়ারেন্ট না থাকা সত্বেও গ্রেফতার, হয়রানী করছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ এর তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকার কর্মী, সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভয়-ভীতি, হুমকি, বাসা বাড়িতে তল্লাশী, হয়রানী ও গ্রেফতার করছে। যাহা তফসীল ঘোষণার পর একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় অন্তরায়। তিনি অভিযোগ করেন ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী সমর্থক গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন ও মনসুর আহমদ, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বরায়া উত্তরভাগ গ্রামের আলতাব হোসাইন ও হেতিমগঞ্জ এলাকার মাওলানা জমির উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার গোলাম মোস্তফা মুসা, লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের মাওলানা হেলাল আহমদ খান, মীরগঞ্জ ফতেহপুর এলাকার এমদাদুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা বারইগ্রামের ফয়সল আহমদ এর নামে কোন মামলা-ওয়ারেন্ট না থাকলেও পুলিশ তাদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও আমার বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন পরিচালক বিয়ানীবাজারের মাথিউরা নিবাসী মাওলানা মুফাস্সীর আহমদ ফয়েজী ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিধনপুর নিবাসী মাওলানা জমির হোসাইনকে মামলা না থাকা সত্বেও আটক করেছে। ২১/১১/২০১৮ইং তারিখে আমার গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কমিটির পরিচালক গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ঘোগারকুল গ্রামের সৈয়দ নাসির উদ্দিনকেও কোন ধরনের মামলা ব্যতীত তাঁর বাসা থেকে গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে। এমতাবস্থায় আমার সংসদীয় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আতংকিত ও উৎকন্ঠিত এবং একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও গ্রেফতার হয়রানী বন্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি