দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা সভায় সিলেট চেম্বার ও চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দ ॥ সিলেট-চট্টগ্রামের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত হলে শিল্পোদ্যোক্তারা লাভবান হবেন

36
সিলেট-চট্টগ্রামের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সিলেট চেম্বার ও চট্টগ্রাম চেম্বারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সভা।

সিলেট এবং চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য যৌথ উদ্যোগে কাজ করার জন্য সম্মত হয়েছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। সেই সাথে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে রেল, মহাসড়ক ও বিমানের ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যৌথভাবে দাবী জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উভয় চেম্বারের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল (১৭ নভেম্বর ২০১৮ইং) শনিবার চেম্বার কনফারেন্স হলে সিলেট চেম্বার এর ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বলা হয়, সিলেট এবং চট্টগ্রামের মধ্যে ভৌগলিক, সামাজিক এবং ব্যবসায়ীক যে সম্পর্ক রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করলে সবক্ষেত্রে সাফল্যের দ্বার আরো উন্মোচিত হবে।
উক্ত যৌথ সভায় সিলেট চেম্বারের পক্ষে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ এবং চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বক্তব্যে ড. মোমেন বলেন, সিলেট এবং চট্টগ্রামের মধ্যে সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ উন্নত করলে পর্যটন শিল্প, আইটি সেক্টর সহ বিভিন্ন খাতে শিল্পোদ্যোক্তারা লাভবান হবেন। তিনি বলেন, সিলেট ডিজিটাল সিটি’র মতো চট্টগ্রাম সিটিকে কিভাবে ডিজিটাল সিটিতে রূপান্তরিত করা যায় এজন্য আমরা সিটি মেয়রকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। তিনি বলেন, সিলেট ও চট্টগ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি জানান, সিলেট এয়ারপোর্টের জন্য বিশাল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে বর্তমান এয়ারপোর্ট চারগুন বৃদ্ধি পাবে। তিনি গ্যাস সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সরকার বাসা-বাড়িতে কোনভাবেই গ্যাস দিতে রাজি নয়, তবে শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস দিতে রাজি হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি উভয় চেম্বার নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন র‌্যাব-৯, সিলেটের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, পরিচালক মোঃ হিজকিল গুলজার, জিয়াউল হক, পিন্টু চক্রবর্তী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, চট্টগ্রাম সমিতি সিলেটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, লুব-রিফ বাংলাদেশ লিঃ এর পরিচালক সালাউদ্দিন ইউসুফ, ফুলকলির ডিজিএম মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার, ওয়েল ফুডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাবিবুর রহমান, লংকা-বাংলা সিকিউরিটিজের সিলেট ইনচার্জ মোঃ শামছুদ্দিন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ ছানাউর। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, পরিচালক মোঃ সাহিদুর রহমান, নুরুল ইসলাম, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (ভূট্টো), এহতেশামুল হক চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রহমান, মোঃ আব্দুর রহমান জামিল, হুমায়ুন আহমেদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু, সদস্য এম. এ. হান্নান সেলিম, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, মোঃ সাহাব উদ্দিন, আবেদুজ্জামান, ধ্রুব দাস, এহসানুল কবির, জাবেদ সিরাজ, মোঃ আব্দুল হক, নাজিম উদ্দিন, মোঃ আবুল হোসেন, এম. রফিকুল আলম, মোঃ সাইফুদ্দিন চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন সেলিম, রাহাত তফাদার ও চিটাগাং ও সিলেট চেম্বারের কর্মকর্তাবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি