ওসমানীনগর থেকে সংবাদদদাতা :
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান বলেছেন, শাহ্ আজিজুর রহমান ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে সিলেটের ছাত্র গণজাগরণের অবিসংবাদিত নেতা যার সাহস ও ত্যাগের রাজনীতি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনকে গোটা পূর্ব পাকিস্তানে বেগবান করে ছিল। এই সময় তিনি কারাবরণ করে সিলেটের আন্দোলনকারীদের গর্বিত করে ছিলেন। ছয় দফা আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে পালন করেছিলেন তিনি। সত্তরের নির্বাচনে একজন ছাত্রনেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধুর নৌকার বিজয়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। জাতীয় প্রতিটি দুঃসময়ে অগ্রভাগে থেকে সিলেটের অন্যতম কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, শাহ্ আজিজুর রহমান ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা, সংগঠক ও আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতার পাশাপাশি ১৯৮৯ সালে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে সিলেট-২ আসনে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় পার্টির কবল থেকে সিলেট-২ আসনটি উদ্ধার করেন। তিনি জনগণের উজাড় করা ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন। ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর কদমতলাস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সাবেক এমপি শাহ্ আজিজুর রহমানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝলক পালের সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ রাসেল আহমদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উমরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, কমরেড আফরোজ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা মোজাহিদ আলী, আব্দুল মালেক, আব্দুস সালাম, আলা উদ্দিন, মামুনুর রশীদ খলকু, নূরুল ইসলাম, খালিছ মিয়া, মতিন জায়গীরদার, আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক চঞ্চল পাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা, যুবলীগ নেতা শাহ জামাল আহমদ, মোহন আহমদ, খন্দকার মাছুম আহমদ, সুমন সুএধর, রশিদুল ইসলাম রাশেদ, জাহেদুল আম্বিয়া কার্জন, ছাত্রলীগ নেতা বাবর খান, সাবুল মিয়া, রিপন দেব, এহিয়া, ইমরান আহমদ, সুলেমান খান ও রাসেল আহমদ প্রমুখ।