সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ (৪৮)’এর বিরুদ্ধে সেলাই মেশিন দেবার প্রলোভন দেখিয়ে চার সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় নিজের কার্যালয়ের দুই তলায় ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনার বিচার দাবি করে বিকালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। অবশ্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সবই সাজানো নাটক’।
নির্যাতিতার ভগ্নীপতি গণমাধ্যমকে জানান, তার শালিকা বাগুয়া গ্রামের ৪ সন্তানে জননী (২৮) প্রশিক্ষণ এবং সেলাই মেশিন নেবার জন্য কয়েকদিন আগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে যান। চেয়ারম্যান ওই নারীকে ভোটার আইডি কার্ডসহ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় আসার জন্য জানিয়ে দেন। বুধবার বেলা আড়াইটায় ওই মহিলা উপজেলা সদরে গেলে চেয়ারম্যান তাকে অফিসের দোতলায় যাবার পরামর্শ দেন। কয়েক মিনিট পর চেয়ারম্যান তাকে দোতলায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। মহিলার চিৎকার শুনে আশপাশের কয়েকজন ওখানে যান। নির্যাতিত মহিলার কান্না শুনে বহু মানুষ সেখানে জড়ো হন। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ দ্রুত উপজেলা পরিষদ এলাকা ত্যাগ করেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মহিলা জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহিলার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমের কাছে দাবি করে বলেছেন,‘সবই সাজানো নাটক, দুপুরেই কয়েকজন মহিলাকে ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকতে দেখেছেন তিনি। দুপুরে নেপালের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে খাওয়া শেষ করে অফিস থেকে বেরিয়ে ভাদেরটেকে একটি সালিসে চলে আসেন তিনি। এরপরের কোন ঘটনাই তাঁরা জানা নেই।’
তবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলেমান তালুকদার জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। (খবর সংবাদদাতার)