ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ছাত্রী উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের খসরুপুর গ্রামের কালা মিয়া মেয়ে (১০) ও খছরুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ইসমাইল মিয়া (১৮) কে আটক করেছে।
জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে খেলাধূলা করছিল শিশুটি। এ সময় একইগ্রামের ইদ্দেক উল্লার ছেলে ইসমাইল মিয়া (১৮) শিশুটিকে ফুসলিয়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির কান্নায় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষক পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার বাড়ির লোকজন শিশুটিকে থানায় নিয়ে এলে পুলিশ তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। দুপুর ২টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইসমাইলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
শিশুটির চাচা আব্দুল জলিল বলেন, শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেছে ইসমাইল। বতর্মানে তার অবস্থা আশংকাজনক। থানা পুলিশকে অবগত করে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ভর্তি করেছি।
এদিকে অভিযুক্ত ইসমাইলের ভাই মামুন মিয়া বলেন, আমার ভাই ইসমাইল মানসিক রোগী। পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ওই ঘটনায় সাথে আমার ভাইকে জড়িয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ভাই এ ঘটনার জড়িত নয়।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতা শিশুটি বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।