অসামঞ্জস্য বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে ॥ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

43

স্টাফ রিপোর্টার :
মিটারে আছে ১ হাজার ৬৫৩ ইউনিট। অথচ বিল দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪শ’ ইউনিটের। এমন ভোগান্তি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যান নগরীর রায়নগর মিতালী ৮৫ নং বাসার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির হোসেন। অসামঞ্জস্য এমন বিল দেখে কর্মকর্তারাও দুঃখ প্রকাশ করে বিল সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও অফিসে ধরনা দিতে হচ্ছে এই প্রবাসীকে।
একইভাবে নগরীর দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেনের বিল আসার কথা ২শ’ টাকা। কিন্তু মিটার না দেখেই তাকে বিল দেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার টাকার। এভাবে সিলেটে ভোগান্তির শিকার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক।
গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন গ্রাহকরা। তারা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে নিয়ে বিলের প্রতিবাদ জানান। এসময় প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতিমাসে তার বিল আসে দেড় থেকে দুইশ’ টাকা। সেখানে বিল দেওয়া হয়েছে আড়াই হাজার টাকার। একই অবস্থা অন্যদের ক্ষেত্রেও। লাইনম্যানরা না দেখে বিল করে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলেন বলে দাবি করেন তিনি।
প্রবাসী জাকির হোসেন বলেন, বাসায় ৩টি মিটার রয়েছে। এসব মিটারের রিডিংয়ের তুলনায় অতিরিক্ত বিল চাপিয়ে দেওয়া হয়। অফিসে অভিযোগ নিয়ে গেলে মিটার রিডারদের দায়ী করে কর্মকর্তারা দায় এড়ান। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও বিলম্ব করে ফেলা হয় নতুন ভোগান্তিতে।
সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইকরাম হোসেন বলেন, না দেখে মিটার রিডিং নিয়ে বিল করার কারণে বেশ কয়েকজন মিটার রিডারকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তাছাড়া বিগত দিনে এই সমস্যায় সিলেটে আরো ২শ’ মিটার রিডারকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এখন থেকে মিটারের রিডিংয়ের ছবি তুলে বিল করায় এই সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়েছে। পুরোপুরি নিরসনে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।