ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
ব্যাট হাতে তিনি মাঠে থাকা নিঃসন্দেহে বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন। বল হাতেও ঘুম হারাম করেন ব্যাটসম্যানদের। একজন সম্পূর্ণ যাকে বলে তিনি এক জন আন্দ্রে রাসেল। প্রমাণ দিলেন আরও একবার। শুধু প্রমানই নয়, গড়লেন অনন্য এক কীর্তিও।
চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) শনিবারের ম্যাচে (বাংলাদেশ সময়) একজন ক্রিকেটারের পক্ষে যা যা করা সম্ভব সবই করেছেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং এবং অধিনায়কত্ব। আর সব কিছু মিলিয়ে করেছেন দারুণ কিছু। একই ম্যাচে বল হাতে হ্যাট্রিক ও ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।
রাসেলের আগে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একই ম্যাচে হ্যাটট্রিক ও সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কেউই। রাসেলের এই অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ার দিনে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে তার দল জ্যামাইকা তালাওয়াজ।
প্রথম ইনিংসের ১৯ ওভার বোলিংয়ে আসেন জ্যামাইকার অধিনায়ক রাসেল। আর এসেই পরপর তিন বলে তুলে নেন ত্রিনিবাগোর তিন উইকেট। তার শিকার হন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ডুয়াইন ব্রাভো ও দিনেশ রামদিন। ত্রিনিবাগোর ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ২২৩ রানে।
বড় এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে জ্যামাইকা। রান মাত্র ৪১। উইকেটে আসেন ব্যাটসম্যান রাসেল। কেনার লুইসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ফিরিয়ে থামেন তিনি। মাত্র ৭৩ বলে ১৬১ রানের জুটি গড়েন দুজন।
মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করে সিপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন রাসেল। লুইসও তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ৩৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কার মারে ৫২ রান করে ফেরেন লুইস।
সঙ্গী ফিরে গেলেও অধিনায়কের দায়িত্ব যে ছিলো তখনও। ৪৯ বলে ১২১ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন রাসেল। ১৩ ছক্কা ও ৬ চারে ঝড় ওঠে রাসেলের ব্যাটে। শুধু বাউন্ডারি থেকেই তিনি করেন ১০২ রান।
তিন বল ও চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জ্যামাইকা। বিশ্ব দেখে অসাধারণ এক ক্রিকেট ম্যাচ।