বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
হাওর ভ্রমণে পর্যটক বেড়েছে বাড়েনি আবাসন, নানামুখী সমস্যায় জর্জড়িত তাহিরপুর পর্যটন। গত ১০ বছরের ব্যবধানে তাহিরপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোকে কেন্দ্র করে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে নি আবাসন সুবিধা। এতে করে ঘুরতে আসা লোকজন পড়ছেন নানামুখী সমস্যায়। এমনটাই জানালেন গত শনিবার পূর্ণিমাতে দেখতে আসা হাজারো লোকজন। সে সময় ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প এলাকায় কথা হয় ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক কুহু জাহানের সাথে তিনি বলেন,খুব ভোরে ওয়াশ রুমের খোঁজে প্রথমে তিনি এক বাড়িতে যান সেখানে বাড়ির মালিক বলেন পানি নাই। আর এক বাড়িতে গেলে তারা জানান তাদের ওয়াশ রুম নাই।
নোয়াখালী থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাওরে ঘুরতে এসে বড় ধরনের যে সমস্য তা হলো টয়লেট। টয়লেটের জন্য কি যে অসুবিধা তা ভুক্তভোগীরাই ভাল বলতে পারবে।
জানা যায় উপজেলার একাধিক দর্শনীয় স্থানগুলো নব্বই দশক থেকে গুটি কয়েক পর্যটকের আনাগুনা থাকলেও ফেইসবুকের কল্যাণে ২০১০ সালের পর থেকে তাহিরপুর উপজেলা দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে দিন দিন পর্যটকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। দিন দিন বাড়তে থাকে পর্যটকের সংখ্যা। কিন্তু সেই সাথে বাড়েনি আবাসন সুবিধা। উপজেলায় শিমুল বাগান বারেকটিলা, যাদুকাটা, ট্যাকেরঘাট পাথর কোয়ারী, লাকমাছড়া টাঙ্গুয়া হাওর সহ একাধিক পর্যটন স্পট থাকলেও আজ পর্যন্ত কোথাও গড়ে ওঠেনি একটি ভাল মানের হোটেল। তাছাড়া কোন একটির আশপাশেও সেভাবে চোখে পড়েনি একটি ভাল মানের পাবলিক টয়লেট।
পর্যটক পরিবহনে নিয়োজিত হাতে গুনা কটি নৌকাতে টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও নৌকায় টয়লেটের জায়গা সংকোচের কারণে অনেক তা ব্যবহার করতে পারছেন না। বিশেষ করে মহিলা দর্শনার্থীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে।
টাঙ্গুয়া হাওর পর্যটক পরিবহন নৌকা মনজুড়ানি এক্সপ্রেস এর মালিক আসিফুর রহমান বলেন, হাওর দেখতে হাজার হাজার পর্যটকদের সমাগম হয় ছুটির দিনগুেেলাতে কিন্তু নৌকায় শতভাগ সুবিধা প্রদান করা যায় না।
উঠুন পর্যঠন গ্র“পের ফাউন্ডার নাহিদ নেওয়াজ বলেন, হাওর দেখতে আমাদের মাধ্যমে অনেক ট্যুরিস্ট আসেন কিন্তু স্থানীয়ভাবে হোটেল মোটেল কিংবা পাবলিক টয়লেট না থাকায় ট্যুরিস্টদের অনেক সসম্যা হয়। এ সমস্যার সমাধান না হলে এক সময় এদিক থেকে ট্যুরিস্টরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম বলেন, যে পরিমাণ পর্যটক আসেন সে পরিমাণ সুবিধা এখনো গড়ে উঠেনি কোন একটি পর্যটন স্পটে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমরা বারেক টিলা সহ আরও দু’একটি স্থানে পর্যটকদের জন্য কিছু স্থাপনা তৈরীতে হাত দিয়েছি।