স্টাফ রিপোর্টার :
গোলাপগঞ্জে মাদক মামলায় ৪ জনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। গতকাল রবিবার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এ. এম. জুলফিকার হায়াত এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে- গোলাপগঞ্জ থানার রনকেলী উত্তর গ্রামের মৃত শেখ আতাউর রহমান উরফে আদাই’র পুত্র মো: আয়লাফ আহমদ (২৮), একই এলাকার রখলিছ আলীর পুত্র মো: রফিকুল ইসলাম (২৫), একই থানার সরস্বতী কামারগাঁও গ্রামের মৃত কুতুব আলীর পুত্র মো: এনাম আহমদ (৩২) এবং জকিগঞ্জ থানার ২নং বিরশ্রী ইউনিয়নের কোণারগাঁও কোণাগ্রামের তছদ্দর আলীর পুত্র সরফ উদ্দিন (৩০)। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: রফিকুল ইসলাম ও মো: এনাম আহমদ বর্তমানে পলাতক রয়েছে এবং বাকীদের গতকাল রবিবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে অবস্থান নেয়। এসময় জকিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী (সিলেট-থÑ১২ ৪০২৭) নং সিএনজি অটোরিকশাকে পুলিশ সিগ্যানাল দেয়। তখন গাড়ীটি পুলিশের সিগ্যানাল অমান্য করে পালাতে থাকলে ধাওয়া করে ওই সিএনজি অটোরিকশাসহ মাদক পাচারকারী মো: আয়লাফ আহমদকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ গাড়ীটি তল্লাসী করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দামের বিদেশী মদ ও ফেনসিডিল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানার এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান বাদি হয়ে ৪ মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ১৮ (২১-০১-২০১৫)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোলাপগঞ্জ থানার এসআই মৃদুল কুমার ভৌমিক একই বছরের ২০ ফেব্র“য়ারী ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং একই বছরের ৮ জুন থেকে তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত এ মামলার বিচারকায্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী মো: আয়লাফ আহমদ, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: এনাম আহমদ ও সরফ উদ্দিনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২২ (গ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং একই ৪ আসামীকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) ধারার অন্তর্গত টেবিলের ৩ (ক) আইটেম অনুসারে প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট ফখরুল ইসলাম ও এডভোকেট নিজাম উদ্দিন এবং আসামীপক্ষে এডভোকেট মো: মঈন উদ্দিন ও এডভোকেট মো: আলা উদ্দিন মামলাটি পরিচলানা করেন।