স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ খুশির মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মানুষ বিভিন্ন ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় এবং দেশের সব সমস্যা দূর করতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া সব পাপ থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অত্যন্ত আনন্দ ও উৎফুল্লের সঙ্গে ঈদের কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।
ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নগরীর শাহী ঈদগাহ ময়দানে। দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয় হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহে। এছাড়া নগরীর টিলাগড় ও খোজারখলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, আলীয়া মাদরাসা ময়দান ছাড়াও বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বরাবরের মতো এবারো সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা কামাল উদ্দিন।
সিলেটে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা শাহী ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। ঈদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন দরগাহ মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা আসজাদ আহমদ। একই সময়ে শহরের আররো বেশ কয়েকটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা সদর ও গ্রামের বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, ভবঘুরে কল্যাণ,কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
ঈদুল ফিতরের দিনে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়।