কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে বর্তমানে ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমশক্তি রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৩৫ লাখ ও নারী ২ কোটি শ্রম শক্তি রয়েছে। কর্মক্ষম জনশক্তির মধ্যে ৬ কোটি ৮ লাখ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০১৮ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে আরো বলা হয়, উচ্চতর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জণে সামিষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি মূল্য, মজুরি ও কর্মসংস্থান এই তিনটি সূচক খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। ২০১৮ অর্থ বছরের মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকার খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সতর্ক মুদ্রানীতি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মক্ষম শ্রমশক্তির মধ্যে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ্রমশক্তির মধ্যে ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ কৃষিতে, ৩৯ শতাংশ সেবা খাতে এবং ২০ দশমিক ৪ শতাংশ শিল্প খাতে নিয়োজিত রয়েছেন।
শ্রম শক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুযায়ী কর্মে নিয়োজিতদের মধ্যে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত প্রায় ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ। চাকুরীজীবী ও পারিবারিক শ্রমে নিয়োজিত যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। পারিবারিক শ্রমে নিয়োজিতদের মধ্যে পুরুষ ১৭ লাখ ও নারী ৫৩ লাখ। অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও তাদের প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ৬ লাখ ৯২ হাজার কর্মী বিদেশ গেছেন।
এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৯ লাখ ৫ হাজার কর্মী ১২,৭৬৯ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। চলতি নয় মাসে ১০,৭৬১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে প্রেরিত হয়েছে । যা পূর্ববর্তী অর্থ বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি। দেশের দক্ষ শ্রম শক্তি বৃদ্ধিতে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্থাব করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৮৯টি উপজেলায় কারিগরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২৩টি উপজেলায় ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় ৩৫টি মডেল মাদ্রাসা স্থাপন ও ৫২টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হবে। দেশে প্রতি বছর ২০ লাখ নতুন শ্রমশক্তি যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬ লাখ দেশের অভ্যন্তরে এবং চার লাখ বিদেশে কর্মসংস্থান হয়। দেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিবছর ১৬ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান করতে হচ্ছে। শিল্প ও সেবা খাতের হিস্যা দিন দিন বাড়ছে। কৃষি খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকায় কৃষিতেও শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে।