কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তের ১১শ’ পয়েন্ট দিয়ে মাদক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। সীমান্তের এসব অবৈধ চোরাই পয়েন্ট সিল করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এসব পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজার মতো মাদক। প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মাদক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। সারাদেশে বর্তমানে ৩২ হাজার মাদকের মামলা বিচারাধীন, যা বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে। এরই মধ্যে দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ৪ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ১ মাসে মাদকের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৪ হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত এক মাসে মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৪৪ জন নিহত হয়েছেন। কোন কোন সীমান্ত দিয়ে কারা কিভাবে মাদক পাচার করে আনছে তার তালিকা তৈরি করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ ছয়টি গোয়েন্দা সংস্থা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর উল্লেখ করেছে কয়েক বছর আগেও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তের সাড়ে ৫শ’ পয়েন্ট দিয়ে মাদকদ্রব্য প্রবেশ করত। বর্তমানে প্রায় ১১শ’ পয়েন্ট দিয়ে মাদকদ্রব্য ঢুকছে। এর মধ্যে কক্সবাজারেই ৪৯টি। কক্সবাজারের সাগরপথ, সড়কপথ ও বান্দরবানের গহীন পাহাড়ী অঞ্চল হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। অন্যদিকে ফেনী, কুমিল্লা সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, যশোর জেলার সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে। সীমান্তের যেসব পয়েন্ট দিয়ে মাদক ঢুকছে সেসব পয়েন্টের একটা তালিকা তৈরি করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম সীমান্তের যশোরের বেনাপোল, পাটখালী, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা, সাতক্ষীরার কলারোয়া, দেবহাটা, ভোমরা, কুলিয়া, চুয়াডাঙ্গার মহেশপুর, জীবননগর, মেহেরপুরের মুজিবনগর, মেহেরপুর সদর, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, রাজশাহী সদর, গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, জয়পুরহাট সদর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হিলি, হাকিমপুর, বিরলা ও পোরশা, পূর্ব সীমান্তের সিলেটের জকিগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, বিবিরবাজার, ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম, উত্তর সীমান্তে কুড়িগ্রামের রৌমারী, নাগেশ্বরী, শেরপুরের শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা এবং দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে টেকনাফ ও উখিয়া দিয়ে অবাধে মাদক প্রবেশ করছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, দিন-রাতে অবাধে নৌ ও স্থলপথে সীমান্তের নির্দিষ্ট পয়েন্ট দিয়ে সর্বনাশা মাদক ঢুকছে দেশে। এরপর নানা কৌশলে সব বাধা ডিঙিয়ে তা চলে যাচ্ছে আসক্তদের হাতে হাতে। এতে নেশার বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছে যুব সমাজসহ মানুষজন। আর এই মরণ নেশা ধ্বংস করে দিচ্ছে প্রান্তিক থেকে শুরু করে শহুরে জীবন। দীর্ঘ দিন ধরেই মাদক পাচারকারীদের কূটকৌশলের কাছে যেন হার মেনে আসছিল প্রশাসনও। তাই তো হাত বাড়ালেই মেলে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ সব ধরনের মাদক দ্রব্য। যা লুফে নিচ্ছে তরুণ সমাজ। ফায়দা লুটছে এক স্বার্থান্বেষী বিক্রেতা সিন্ডিকেট। সুশীল সমাজের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময়ে মাদক উদ্ধার হলেও, বড় একটি অংশ চলে যায় মাদকসেবীদের হাতে। যদিও প্রশাসনের দাবি, সহনীয় পর্যায়ে আনতে সব ব্যবস্থাই নিয়েছেন তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে একাধিক বৈঠকে মাদক পাচাররোধে নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। ওইসব বৈঠকের তথ্যমতে, বৃহত্তর যশোর সীমান্তে ৫২টি এবং উত্তরাঞ্চলের ৬ জেলার ৭২ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৭০টি ফেনসিডিল, ১০টি হেরোইন প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার তালিকা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের হাতে তুলে দেয়া হয়। একাধিক বৈঠকে কারখানাগুলো দ্রুত বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানোর পর মাত্র এক ডজন বন্ধ করে বিএসএফ। অন্যান্য কারখানা বন্ধের ব্যাপারে যাতে যথাযথ সাড়া মিলে সেই জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর তাগাদা অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে, পার্বত্য এলাকার বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ৭১০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩৬৫ কিলোমিটারই অরক্ষিত। রাঙ্গামাটির সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির নাইক্ষ্যংছড়ি পর্যন্ত ১১৩ কিলোমিটার, রাঙ্গামাটির আন্ধারমানিক থেকে বান্দরবানের মদক পর্যন্ত ১৩১ কিলোমিটার, মদক থেকে লেম্বুছড়ি ১২১ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবির সীমিত মাত্রার টহল রয়েছে। আবার কুমিল্লার ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রক্ষায় বিজিবির মাত্র ১৫টি বিওপি রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়া ও সদর উপজেলার ৮০ কিলোমিটার সীমান্তের অর্ধশতাধিক স্পট দিয়ে মাদক ঢুকছে। দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিজিবির চিহ্নিত ৯৯টি রুটসহ ৩ শতাধিক রুট দিয়ে মাদক আসছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলায়ও অন্তত ২০০ পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়। সাতক্ষীরা জেলায় ২৬টি, যশোরে ২১, ঝিনাইদহে ২২, চুয়াডাঙ্গায় ৬, মেহেরপুরে ২২ এবং কুষ্টিয়ায় দুটি রুট রয়েছে। এ সব রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত মাদক ঢুকছে। যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও বিভিন্ন মালপত্রের সঙ্গে কৌশলে আনা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। এক্ষেত্রে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের পরোক্ষ সহায়তা থাকারও অভিযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরার ১৩৮ কিলোমিটার সীমান্ত মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে। ভোমরা স্থলবন্দরসহ অন্তত ১৭৫টি পয়েন্ট দিয়ে অবাধে মাদকদ্রব্য ঢুকছে দেশে। গত বছর শেষের দিকে বিজিবির বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এক লাখেরও বেশি লোক এসব সর্বগ্রাসী মাদক বিকিকিনির সঙ্গে জড়িত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার ও ভারতের মাটিতে গড়ে ওঠা শতাধিক ইয়াবা ও ফেনসিডিল কারখানা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ফেনসিডিল কারখানাগুলো ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত। কয়েকটি কারখানা ধ্বংস করেছে বলে দেশটির দাবি। এ ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মিয়ানমার সফর করে সে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশত ইয়াবা কারখানার তালিকা দিয়েছে, যা ধ্বংস করে ফেলা হয়। মিয়ানমার থেকে আশ্বাস দিলেও তা এখনও কার্যকর করা হয়নি। মিয়ানমার সীমান্তে গড়ে ওঠা ইয়াবা কারখানাগুলো থেকে আসা লাখ লাখ ইয়বা পিসই এখন বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ মাদকের বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে এবং বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, মাদকে তো দেশ ছেয়ে গেছে এটাই বাস্তবতা। মাদকের উৎস বা প্রবেশমুখগুলোকে কিভাবে অভিযানের আওতায় আনা যায় সেটার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থলপথের পাশাপাশি নৌ ও সাগরপথেও দেদার ইয়াবা পাচার হচ্ছে। সাগরপথে ইয়াবা পাচারে বড় সুবিধা হলোÑ কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকতে প্রশাসনের অপ্রতুল জনবলের কারণেও এত দীর্ঘ সৈকতজুড়ে সে কাজ বিজিবি বা কোস্টগার্ডের পক্ষে কষ্টসাধ্য থাকার কারণে ইয়াবা পাচার বন্ধ করা যায়নি। প্রতিদিন শতশত ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে গেলেও কোনটি মাছ নিয়ে কূলে ভিড়ছে আর কোনটি ইয়াবার চালান নিয়ে তা শনাক্ত করা কঠিন। এ সুযোগে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ইয়াবা পাচারকারীরা প্রতিনিয়ত লাখ লাখ ইয়াবার চালান পাচার করছে। মিয়ানমার থেকে ফিশিং ট্রলারে ইয়াবার চালান বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি এসে বাংলাদেশি ট্রলারে হাতবদল হয়। এরপর ইয়াবা বহনকারী এদেশীয় ফিশিং ট্রলারগুলো সুযোগ বুঝে কক্সবাজার থেকে শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কূলে ভিড়ে নিরাপদে ইয়াবার চালান খালাস করে। সাগরপথে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার বড় চালান খালাস হয় টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ, কাঁটাবনিয়া, খুরের মুখ, মু-ার ডেইল, বাহারছড়া, টেকনাফ সদরের খোনকারপাড়া, মহেষখালিয়াপাড়া, পর্যটন মোড়, হাবিরছড়া, রাজারছড়া, বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া, শামলাপুর, শীলখালী ও উখিয়ার ইনানী ইত্যাদি পয়েন্ট দিয়ে, যা বন্ধ করা আশু প্রয়োজন হয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেই মাদকের প্রবেশদ্বারগুলো কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে চিন্তাভাবানা করা হচ্ছে। এসব পয়েন্ট দিয়ে মাদক প্রবেশের পর সিন্ডিকেটের ছড়িয়ে থাকা শক্তিশালী জালের মাধ্যমে সহজেই তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। যদি অভিযানের মাধ্যমে শুধু বাহকদের ধরা হয় কিংবা বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে ফেলা হয় তাহলে অক্ষত থেকে যাবে প্রবেশপথের গডফাদাররা। সীমান্ত জেলাগুলোয় মাদকের ডিলার, খুচরা ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের নিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত; কিন্তু অভিযানের ক্ষেত্রে কোন কিছুই বিবেচনায় নিতে চাচ্ছেন না তারা। এ ছাড়া মাদকসেবী ও খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। গত ৪ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত গত ১ মাসে সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার জন। এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ১৪৪ জন।
মানবাধিকর সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দাবি করেছে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১৪৪-এ পৌঁছেছে। এ জন্য সংগঠনটি গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার কথা জানিয়ে রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মাদকবিরোধী অভিযানে যে কোন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে চলমান বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার চর্চার পথ উন্মুক্ত করতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতা (জিরো টলারেন্স) নীতির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এ অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের নামে প্রতিদিন নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনতিবিলম্বে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কথিত বন্দুকযুদ্ধ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।