কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে যাচ্ছি। জাতির পিতার লক্ষ্য এবং আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসার চাহিদা নিশ্চিত করা।
সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে রাজনীতিবিদদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ইফতারের আগে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। ইফতারের আগে দেশ-জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল স্বনির্ভর সমৃদ্ধ দেশ। আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছি, আমরা সমুদ্রসীমা সমাধান করেছি, এমনকি সাগরের নিচে যাওয়ার জন্য আমাদের সাবমেরিনও আছে।’
অন্যান্য ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী কোনো বক্তব্য না রাখলেও এদিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
মোনাজাতে ৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব এবং সেদিনের সকল শহীদবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলের নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বিএনএ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, ১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ, শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংসদ নেতৃবৃন্দ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।