হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহারপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বুকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা কর্তৃপক্ষ। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ব্যাপকভাবে। এদিকে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। গত ১১-০৭-২০১৭ তারিখে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, ০২-১১-২০১৭ পরিবেশ অধিদপ্তর এর মহা পরিচালক, একই তারিখে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর, সর্বশেষ ১৭-১২-২০১৭ ইং তারিখে ভূমি মন্ত্রীর বরাবর, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন আব্দুল কুদ্দুছ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় লোকজন। কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর এলাকা থেকে কুশিয়ারা নদীর উপর ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ প্রতিনিধি ক্যামেরায় ছবি ধারণ করার চেষ্টা করলে পূর্বের মতো তারা দ্রুত ড্রেজার মেশিন নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, সারাদিন এমনি রাতে ও পারকুল, বনগাঁও, পাহাড়পুর গ্রামের বিবিয়ানা বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীতে একাধিক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন বালু খেকোরা। কুশিয়ারা নদীর পানিতে ভাসমান ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে নদীর গভীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। এতে নদীর পারে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আশপাশের আবাদি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে অর্থলোভী বালুখেকোদের নামে অভিযোগ দেয়ার পরও কোনভাবেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশের হয়। সংবাদটি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমার নজরে আসলে তার নির্দেশে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমির অভিযানে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনকালে ২টি নৌকাসহ ৭ জনকে আটক করা হয়। কিন্তু মূল হোতারা তখন থেকে এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছে। সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন কথা প্রতিদিন শুনা যায় কিন্তু বন্ধ হওয়ার কথা খুব কম শুনা যায় এতে করে কী প্রমান হয় বালুখেকোদের হাত অনেক লম্বা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান বলেন, খোঁজ খবর রাখছি, নবীগঞ্জ ও ওসমানী নগর এর সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে । বালু তোলার খবর পেলেই কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।