ভুয়া ভর্তির আবেদন কলেজগুলোর পাঠদানের অনুমতি বাতিল হচ্ছে

15

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ নিয়ে সোমবার শিক্ষার্থীদের ভিড়শিক্ষার্থীদের অজান্তে তাদের নামে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ভুয়া আবেদন করা কলেজগুলোর পাঠদানের অনুমতি বাতিল করবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
একাদশে ভর্তির অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া গত ১৩ মে থেকে শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া শুরুর পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অসংখ্য শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তাদের অজান্তেই তাদের নামে বিভিন্ন কলেজে ভর্তির আবেদন করা হয়েছে। ফলে তারা নিজেদের পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের নামে নিজেরাই ভর্তির আবেদন করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থী পাবে না এমন আশঙ্কা থেকে কিছু কলেজ কর্তৃপক্ষ এমনটি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। কোনও কলেজের বিষয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা হবে। এছাড়া ভুয়া আবেদনগুলো বাতিল করে ভর্তিচ্ছুদের নতুন করে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়রম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষের ফোন নম্বর ব্যবহার করে একাধিক আবেদন এসেছে কিনা তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। কোনও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে আমরা তাদের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভুয়া আবেদন প্রতিবছরইকরা হয়। অভিযোগগুলো প্রমাণ করা খুব কঠিন। তারপরও চেষ্টা করছি। এসব ঠেকাতে নানা প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা চলছে। এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।’
কেন এমন ভুয়া আবেদন করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব কলেজের অবস্থান বা মান তো ভালো নয়। সাধারণত সেসব কলেজ শিক্ষার্থী পায় না। তারা শিক্ষার্থী পেতে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিজেরাই নিজেদের কলেজ ‘চয়েস’ দিয়ে আবেদন করে রেখেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু সেটা এখনও প্রমাণিত নয়।’
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ভুয়া আবেদনের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিদিন অভিযোগ পাচ্ছি। ফলে আমরা বোর্ডের দুটি রুমে এ সংক্রান্ত একটি সেল তৈরি করেছি। সেখানে অভিযোগকারীদের নম্বরপত্রের মূল কপি রেখে লিখিত আবেদন নেওয়া হচ্ছে। এরপর আমরা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগের ভর্তির আবেদন বাতিল করে নতুনভাবে আবেদন করার সুযোগ করে দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন জালিয়াতির জন্য প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল অথবা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন স্বীকৃতি বাতিল করা হবে; যা ভর্তি নীতিমালায়ও বলা হয়েছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ায় পর কলেজ কোড দিয়ে সেসব প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’