খোশ আমদেদ মাহে রমজান

150

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ চতুর্থ রমজানুল মোবারক ১৪৩৯ হিজরী এ মহানবী (সা.) বলেন যে, ইহা ছবরের মাস এবং ছবরের বিনিময়ে আল্লাহপাক জান্নাত রেখেছেন। ইহা মানুষের সাথে সহানুভুতি করার মাস। এ মাসে মুমিন বান্দাদের রিযিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ব্যক্তির জন্য উহা গোনাহ মাফ দোজখের আগুন থেকে নাজাতের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং উক্ত রোজাদারের সওয়াবের সমতুল্য সওয়াব সে ব্যক্তি লাভ করবে। অথচ সে রোজাদারের সওয়াব বিন্দু মাত্র কম হবে না। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন যে, হে নবী (সা.) আমাদের মধ্যে অনেকেরই সামর্থ নেই যে, সে অপরকে ইফতার করাবে অর্থাৎ পেট ভর্তি করে খাওয়াবে। হুজুর (সা.) বলেন পেটভর্তি করে খাওয়ানো জরুরী নয়। যে ব্যক্তি কাউকে একটি খেজুর দ্বারা ইফতার করাবে আলাহপাক তাকে উক্ত সওয়াব প্রদান করবেন।
যে ব্যক্তি এ মাসে আপন গোলাম ও মজদুর হতে কাজের বোঝা পাতলা করে দেয় আল্লাহপাক তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দান করবেন। যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতারিতে পানি পান করাবে আল্লাহপাক ক্বিয়ামতের দিন তাকে হাওজে কাওছারের পানি পান করাবেন। তারপর থেকে বেহেশতে প্রবেশ পর্যন্ত আর পানির কোনো পিপাসা হবে না। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত হুজুর (সা.) বলেন যে, রমজানের প্রতিটি দিবারাত্রিতে আল্লাহর দরবারে দোযখ হতে অসংখ্য কয়েদীকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক মুসলমানের দিবা ও রাত্রে একটি করে দোয়া কবুল হয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত প্রিয়নবী (সা.) বলেন যে, ব্যক্তি বিনা ওজরে ইচ্ছা পূর্বক রমজানের একটি রোজা ভঙ্গ করেছে, অন্য সময়ের সারা জীবনের রোজা ঐ মাসের রোজার সমকক্ষ হবে না। অতএব দেখুন, মাহে রমজানের একটি রোজা কতই না মূল্যবান।