কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত হবিগঞ্জের দুটি উপজেলার প্রায় ৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া হবিগঞ্জের কালনী, কুশিয়ারা, সুতাং, শুটকি, রতœা নদীর পানি বাড়ছে বলে জানা যায়। ভারতের সীমান্তবর্তী বাল্লা এলাকায় খোয়াই নদীর পানি বাঁধ উপচে চুনারুঘাট উপজেলার ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত শুক্রবার ও শনিবার দুদিনে সোনাই নদীর পানি বেড়েছে। পাশের আলাবক্সপুর ও মঙ্গলপুর গ্রামের দুই পাশের পাড় ভেঙে প্রচন্ড বেগে প্রবেশ করছে পানি। হরষপুর-মাধবপুর ও জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে মনতলাতে মুনিয়া সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় মাধবপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর দুই পাড় ভেঙে গেছে। এতে ওই দুই গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এছাড়া হরষপুর-মাধবপুর ও জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে মনতলা-তেমুনিয়া সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের চলাচলে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
স্থানীয় খালেদ হাসান হৃদয় নামে এক ব্যক্তি জানান, নদীর দুই পাড় ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার চৌমুহনী এবং মনতলা বাজারের দোকানপাটে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা। তিনি আরো জানান, হঠাৎ পানি এসে এলাকার পুকুরগুলো তলিয়ে যাওয়ায় চাষ করা মাছ স্রোতের সঙ্গে ভেসে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন স্থানীয় মৎস্যচাষিরা।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, হবিগঞ্জ শহরে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজান থেকে পানির গতি কমছে বলে জানিয়েছেন তিনি।