বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজারের ব্যবসায়ী সহিব উদ্দিন সৈবনকে গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর গতকাল শনিবার সকালে ছুরি ও গামছা উদ্ধার করে। ঘাতকরা গাড়ির ভেতর তাকে হত্যা করে লাশ আলীনগর ইউনিয়নের কাদি মল্লিক এলাকায় ফেলে দেয়। হত্যা ব্যবহৃত দুইটি ছুরি ও গামছা এবং ব্যবসায়ী সৈবনের মোবাইল, জুতা এক সঙ্গে ফেলে দেয় শেওলা সেতুর নীচে কুশিয়ারা নদীতে।
পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকায় ব্যবসায়ী সৈবন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী জাকির হোসেন পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সকালে তাকে নিয়ে দুবাগের শেওলা সেতু এলাকায় যায়। সে জায়গা সনাক্ত করলে নদীর অল্প গভীরে পানির নীচে বালুর চরে গামছার পুটলা পায়।
জাকির পুলিশকে জানায়, ব্যবসায়ী সৈবনের মোবাইল, জুতা, ১২টি গামছা ও দুইটি ছুরি এক সাথে বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। এর আগে তারা লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে বিয়ানীবাজারের কলেজ রোড হয়ে সিলেট ফিরে যায়। পুলিশ জাকিরের দেয়া তথ্য থেকে সবগুলো জিনিস উদ্ধার করতে পারেনি।
বিয়ানীবাজার থানার (ওসি) শাহজালাল মুন্সী বলেন, রিমান্ডে জাকির মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিষয়টি গোপন রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডে ১২টি গামছা ও ২টি ছুরি ব্যবহার করে ঘাতকরা। আমরা ৭টি গামছা ও ২টি ছুরি উদ্ধার করেছি, মোবাইল ফোন ও জুতা পাইনি। তিনি জানান আজ রবিবার জাকিরের পাঁচদিনের রিমান্ড শেষ হবে।