কাজিরবাজার ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) রবিবার থেকে সারাদেশে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে। এই কর্মসূচির আওতায় রাজধানীসহ দেশ জুড়ে ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, ছোলা এবং খেজুর বিক্রি করা হবে।
টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির জানান, সারাদেশে ২ হাজার ৭৮৪ জন ডিলার এবং ১৮৭ টি ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। টিসিবির ট্রাকগুলোর মধ্যে ৩২টি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়, ১০টি চট্টগ্রামে এবং বাকি বিভাগীয় শহরে ৫টি করে ও জেলা শহরে ২টি করে ট্রাক পণ্য বিক্রির কাজে নিয়োজিত থাকবে।
ঢাকায় টিসিবির ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে: ১. সচিবালয়ের গেইট, ২. প্রেস ক্লাব, ৩. কাপ্তান বাজার, ৪. ভিক্টোরিয়া পার্ক ৫. সাইন্সল্যাব মোড়, ৬. নিউ মার্কেট/নীলক্ষেত মোড়, ৭. শ্যামলী/কল্যাণপুর, ৮. ঝিগাতলা মোড়, ৯. খামারবাড়ি, ফার্মগেইট ১০. কলমীলতা মোড়, ১১. রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট, কচুক্ষেত, ১২. আগারগাঁও তালতলা ও নির্বাচন কমিশন অফিস, ১৩. রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স, উত্তরা, ১৪. মিরপুর-১ নং মাজার রোড, ১৫. শান্তি নগর বাজার, ১৬. মালিবাগ বাজার, ১৭. বাসাবো বাজার, ১৮. আইডিয়াল স্কুল, বনশ্রী, ১৯. বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর, ২০. মহাখালী কাঁচাবাজার, ২১. শেওড়াপাড়া বাজার, ২২. দৈনিক বাংলা মোড়, ২৩. শাহজাহানপুর বাজার, ২৪. ফকিরাপুল বাজার ও আইডিয়াল জোন, ২৫. মতিঝিল বক চত্বর, ২৬. খিলগাঁও তালতলা বাজার, ২৭. রামপুরা বাজার, ২৮. মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, ২৯. আশকোনা হাজিক্যাম্প, ৩০. মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার, ৩১. দিলকুশা, ৩২. মাদারটেক নন্দীপাড়া কৃষি ব্যাংকের সামনে ও পলাশী মোড়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, শুক্র ও শনিবার বাদে সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন পণ্য কেনা যাবে।
একজন গ্রাহক ট্রাক, ডিলার বা টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ৪ কেজি দেশি চিনি, ৪ কেজি ডাল, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি ছোলা ও ১ কেজি খেজুর ক্রয় করতে পারবেন।
প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা এবং খেজুর ১২০ টাকায় বিক্রি করা হবে।
গত বছর প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৮০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা এবং খেজুর ১২০ টাকায় বিক্রি করেছিল টিসিবি। এবার টিসিবি ট্রাকে করে প্রতিদিন ৩-৪শ’ কেজি চিনি, ডাল, ছোলা ও তেল এবং ৩০-৫০ কেজি খেজুর বিক্রি করবে।
একজন ডিলার প্রতিদিন ৫-৭’শ কেজি চিনি, ৩-৬শ’ কেজি ডাল, ৫-৭শ’ কেজি ছোলা ও ৩-৫শ’ কেজি সয়াবিন তেলের বরাদ্দ পাবেন। তাদের জন্য খেজুরের বরাদ্দ এখনো ঠিক করা হয়নি।
হুমায়ুন কবির আরো জানান, টিসিবি ডিলারদের জন্য রমজানের পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তিন ধাপে সরবরাহ করবে। প্রথম ধাপ দেয়া হবে ৬ মে। আর একই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পরের ধাপ এবং মধ্য রমজানে তৃতীয় ধাপে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিলারদের চাহিদার তুলনায় আমাদের কাছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি পণ্যের সরবরাহ আছে।
পণ্যের মান নিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছর বিক্রি করা পাঁচটি পণ্যের মান নিয়ে টিসিবি কোনো অভিযোগ পায়নি। আমরা ইতিমধ্যে বিএসটিআই ও সায়েন্স ল্যাবরেটরির মাধ্যমে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মান পরীক্ষা করেছি। আমরা মান নিয়ে কোনো আপোষ করব না।
টিসিবি’র পরিচালক মো. রুহুল আমিন খান জানান, এই কর্মসূচি ৬ মে থেকে শুরু হবে এবং ২৭ রমজান পর্যন্ত চলবে।