তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
বোরো ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফোটেছে। তাই দিন রাত পরিশ্রম করে সোনার ফসল ঘরে তোলতে এখন তাহিরপুরের হাওরপারের কৃষকরা ব্যস্থ সময় পার করছেন। সেই সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষক পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরও। শনিবার উপজেলা বৃহৎ বোর ফসলি হাওর শনিতে গিয়ে এ চিত্রই দেখা গেছে। পর পর দু’বছর অকাল বন্যায় ফসল হারিয়ে তাহিরপুরে হাওর পারের কৃষকরা অনেকটা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছিলেন। চলতি বছর ব্যাংক ঋণ,এনজিও ঋৃণ,মহাজনি ঋৃণ এমন কি ধার দেনা করে বোরো ফসল রোপণ করেছিলেন কৃষক। বোরো ধান রোপন মৌসুমে হাওরের পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হওয়ায় অসমে হাওরে বোরো ধান রোপন করেন কৃষক। ঠিক সে সময় থেকেই কৃষকরা একটু উৎকন্টায় ছিলেন এবারও ধান কাটতে পারবেন কিনা। কিন্তু আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত সপ্তাহ খানেক পূর্ব থেকে উপজেলার সবকটি হাওরে বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। শ্রমিক সংকটে অনেকে পাকা ধান কাটতে পারছেন না। অনেকে আবার বেশী দামে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন। আবাহাওয়া অনুকলে থাকলে আগামী ১৫ দিনে হাওরপারের কৃষকরা তাদের সোনালী ধান কাটাতে পারবেন। আর গত দু’বছরের ক্ষতি পুষিয়ে ধার দেনা পরিশোধ করে কিছুটা হাসির ঝিলিক দেখা দিবে কৃষকরে মুখে।
উজান তাহিরপুর গ্রামের শনির হাওরপারের কৃষক আবুল কালাম বলেন, এবার ফলন ভাল হয়েছে। দিন ভাল থাকলে ভালয় ভালয় হাওর থেকে ফসল কেটে ঘরে তোলতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বলেন,চলতি বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল তবে কয়েকটি হাওরে ধান গাছ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় লক্ষ্যমাত্র পূরণ নাও হতে পারে।
উল্লেখ্য চলতি বছর উপজেলা ২৩ টি ছোট বড় হাওরে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।