কাজিরবাজার ডেস্ক :
এপ্রিল শেষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা কয়েক দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। সাপ্তাহিক দু’দিন ছুটির সঙ্গে বৌদ্ধ পূর্ণিমা, মে দিবস এবং শব-ই-বরাতের ছুটি মিলিয়ে এক দিন করে ছুটি নিলে ভোগ করতে পারবেন ছয় থেকে নয় দিন। ছুটি কাটাতে অনেকেই ঘুরতে যাওয়াসহ কর্ম পরিকল্পনাও তৈরি করছেন।
আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন ২৯ এপ্রিল বৌদ্ধ পূর্ণিমার দিনও সরকারি ছুটি। আর ৩০ এপ্রিল সোমবার অফিস খোলা। এরপর দিন ১ মে। শ্রমিক অধিকারের এই দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। আর সেদিনও সরকারি ছুটি। পরদিন ২ মে শব-ই-বরাতের সরকারি ছুটি।
৩০ এপ্রিল ঐচ্ছিক ছুটি নিলেই সরকারি চাকরিজীবীরা প্রথম দফায় ২ মে পর্যন্ত ছুটি কাটাতে পারছেন টানা ছয় দিন।
অন্যদিকে, ৩ মে বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করলে ১ থেকে ৫ মে পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে সরকারি চাকরিজীবীদের সামনে।
তবে বেসরকারি চাকরিজীবীদের কারো কারো ২৯ এপ্রিল বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি ভোগের সুযোগ থাকলেও সাপ্তাহিক এক দিন ছুটি হওয়ায় দীর্ঘ ছুটির সুযোগ নেই। কেবল ২৮ এপ্রিল ছুটি ভোগ করলে টানা তিন দিন এবং ৩ মে ছুটি কাটালে থাকছে চার দিন ছুটির সুযোগ।
চলতি বছরে সরকারি ২২দিন ছুটির মধ্যে সাত দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। তবে ২৭ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত দু’সপ্তাহে একদিন করে ছুটি নিলেই দীর্ঘ ছুটির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ২০১৮ সালে সাধারণ ছুটি ১৪ দিন এবং নির্বাহী আদেশে ছুটি ৮ দিন।
এ বছরের সাধারণ ছুটির মধ্যে পড়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ২৯ এপ্রিল বৌদ্ধ পূর্ণিমা, মে দিবস ১ মে, ১৫ জুন জুমাতুল বিদা, ১৬ জুন ঈদ-উল-ফিতর, ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২২ অগাস্ট ঈদ-উল-আযহা, ২ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা, ২১ নভেম্বর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন।
আর নির্বাহী আদেশে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২ মে শব-ই-বরাত, ১২ জুন শব-ই-কদর, ১৫ ও ১৭ জুন ঈদ-উল-ফিতরের আগে ও পরের দিন, ২১ ও ২৩ অগাস্ট ঈদ-উল-আযহার আগে ও পরের দিন এবং আশুরায় ২১ সেপ্টেম্বর ছুটি পড়েছে।
২০১৭ সালে মোট ২২ দিন সরকারি ছুটি ছিল, যার ১০দিনের ছুটি পড়েছিল শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। ২০১৬ সালেও ২২ দিন সরকারি ছুটি ছিল, যার চার দিনের ছুটি পড়েছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন।