ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুককে আবারো কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার সিলেটের সিনিয়র চীপ জুডিশিয়াল প্রথম আদালতে হাজির হলে আদালত তার অস্থায়ী জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন ওই আদালেত বিচারক নজরুল ইসলাম। সূত্র জানায়,ওয়ারেন্ট জালিয়াতি মামলার আসামী ফারুক অস্থায়ী জামিনে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে হুমকির অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ ডিসেম্বর ফারুকের গ্রাম এলাকার ওসমানীনগরের নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদুর রহমানকে সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল প্রথম আদালতের সিআর ৭৯/১৫ নম্বর মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সেদিন তাকে আদালতে হাজিরের পর বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে জাল ওয়ারেন্ট ইস্যুর বিষয়টি আদালতের বিচারকের নজরে আসে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিচারিক আদালত সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল প্রথম আদালতের বিচারককে নির্দেশ দেন। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহায়তায় আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম ঘটনা তদন্ত করে দেখতে পান, আদালতের বিচারক ও পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা কাগজপত্র দিয়ে জাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওই জালিয়াতির ঘটনার সাথে বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুকের সংশ্লিষ্টতার প্রমান পায় আদালত। পরবর্তীতে ৩ ডিসেম্বর সিলেট শহর থেকে গ্রেফতার এবং আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে কারাগারে পাঠানের নির্দেশ দেন আদালত। এঘটনায় আদালতের নাজির কামাল উদ্দিন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা ( ওসমানীনগর জিআর ১৮১/১৭) দায়ের করেন। কারাগারে থাকাবস্থায় আদালতের অনুমতিতে ৪ দিনের রিমান্ডে আনে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। রিমান্ড চলাকালে ফারুকের মায়ের মৃত্যুজণিত কারণে প্যারোলে জামিন লাভ করেন তিনি। জামিনে থাকাবস্থায় ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদুর রহমানকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠে। আদালতের নির্দেশে হুমকি দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পায় পিবিআই। এ ঘটনায় ভিক্টিমপক্ষ আদালতে তার জামিন আবদেন বাতিলের আবেদন জানালে মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
সাজ্জাদুর রহমানের আইনজীবি এডভোকেট গুলজার হোসেন খোকন বলেন, ওয়ারেন্ট জালিয়াতি মামলার আসামী প্যারোলে জামিনে থাকাবস্থায় ভিকটিম সাজ্জাদকে কে হুমকী প্রদানের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় মহামান্য আদালত তার জামিতন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।