বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
হুসাইন মিয়া নামের ৫বছরের এক স্কুলছাত্রকে অপহরেণর ৪ঘন্টার মাথায় ধরা পড়লেন দুই ফুফু। দুই ফুফুর একজন হচ্ছেন আলিমা বেগম হালিমা (১৭) আর অপরজন হচ্ছেন রাহিমা বেগম পূর্ণিমা (১৪)। তারা সিংরাওলী গ্রামের আলা উদ্দিনের মেয়ে এবং অপহৃত শিশুপুত্রের বাবা বকুল মিয়ার আপন চাচাতো বোন। আর উদ্ধার হওয়া হুসাইন মিয়া বিশ্বনাথের সিঙ্গেরকাছ বাজারের ইক্বরা মডেল একাডেমির প্লে-গ্র“পের ছাত্র। অপহরণকারী দু’জন ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরও দুই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হেলন আলহেরা শপিং সিটির গ্রামীন টেলিকমের সত্তাধীকারী রামপাশা গ্রামের সুলতান খানের ছেলে ফিরোজ খান (২৮) ও তার ভাই সামছুল ইসলাম খান (৩২)। সোমবার বিকেলে বিশ্বনাথ বাজারের আলহেরা শপিং সিটির ‘গ্রামীণ টেলিকম’ নামের মোবাইলের দোকান থেকে ওই ৪জনকে আটকসহ হুসাইনকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফুফু পরিচয় দিয়ে ইক্বরা মডেল একাডেমি থেকে হুসাইনকে অপহরণ করে নিয়ে যান পূর্ণিমা ও হালিমা। অর্ধঘন্টা পর হুসাইনের বাবা বকুলকে ০১৭৪৯৯২১৭৯২ নাম্বার মোবাইল ফোনে ২০হাজার টাকা মুক্তিপণ হিসেবে বিকাশ করতে বলে অপহরণকারীরা। কিন্তু ওই নাম্বারে বিকাশ না থাকায় পরবর্তিতে (০১৮৪৮২০১০৭৪) নাম্বারের বিকাশ পাঠাানোর নির্দেশ দেয় অপহরণকারীরা। এ সময় পুলিশের নির্দেশে ওই বিকাশ নাম্বারে ১০হাজার টাকা পাঠানো হয় এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অবশেষে বিকাশ নাম্বারের মালিক ফিরোজ খানের গ্রামীণ টেলিকম থেকে স্কুলছাত্রকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী দুই বোনসহ ৪জনকে আটক করা হয়।
ব্যবসায়ী দু’ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক রাখা হয়েছে জানিয়ে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।