কবরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে বাধা দেওয়ায় ॥ কানাইঘাটে ভাগ্নে কর্তৃক মামাকে নির্মম ভাবে হত্যা, ঘাতক গ্রেফতার

197

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে আপন মামাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে ভাগ্নে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কানাইঘাট চতুল বাজারে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় স্থানীয় বড়চতুল ইউপির রতনপুর কোনাপাড়া গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র চতুল বাজারের ফুটপাতের কসমেটিক্স ও পান দোকানি ৩ সন্তানের জনক নাজিম উদ্দিন (৩৫) কে তারই আপন ভাগ্না একই গ্রামের মৃত রফিকুল হকের পুত্র চতুল বাজারের হরেকমাল ব্যবসায়ী আলমাছ উদ্দিন (৩০) বাজারে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরী আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় বাজারে ব্যবসায়ীরা নাজিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে সিলেট সিওমেক হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে পথিমধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নাজিম উদ্দিন। মামাকে হত্যা করার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় বাজারে উপস্থিত জনতা ঘাতক ভাগ্না আলমাছ উদ্দিনকে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মামা নাজিম উদ্দিন ও ভাগ্না ঘাতক আলমাছ উদ্দিন চতুল বাজারের ফয়জুল হকের দোকানের সামনে ফুটপাতে পাশাপাশি কসমেটিক্স ও হরেক মালের ব্যবসা করতেন। মামাকে হত্যা করার পূর্বে বাজারের কামারপট্টি থেকে ধারালো একটি দা কিনে ভাগ্না আলমাছ উদ্দিন। কয়েক দিন পূর্বে নাজিম উদ্দিন তারই বাড়ীর পাশে একটি কবরে পীরের লাশ আছে বলে সেখানে সে রাতের বেলা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও গোলাপজল সিটাত। এতে মামা ফয়জুল হক ভাগ্না নাজিম উদ্দিনকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বললে সে মামার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেকে ধারনা করছেন। আবার অনেকে বলেছেন, আলমাছ উদ্দিন কয়েক মাস থেকে নানা ধরনের আচরন করত। সম্প্রতি সে তার এক শিশু ছেলেকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করলে তার স্ত্রী প্রাণের ভয়ে তিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যান। কয়েক দিন পূর্বে ঘাতক আলমাছ তার এক খালাতো ভাইকে ধারালো দা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। নাজিমের পরিবারের লোকজন জানান, সে মানসিক সমস্যায় ভোগছিল তাকে ডাক্তার ও দেখিয়েছেন কিন্তু তার অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। অপর দিকে তার মামার বাড়ীর লোকজন জানিয়েছেন, আলমাছ উদ্দিন পাগল নয় সে একজন সুস্থ্য মানুষ। তার নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করায় মামা নাজিম উদ্দিন কে ক্ষিপ্ত হয়ে সে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, মামাকে হত্যার দায়ে ভাগ্না আলমাছ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পর গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অদ্যাবধি পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেননি। লাশের ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।