দোয়ারাবাজারে ব্রীজের উপর সাঁকো, জনদুর্ভোগ

34

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজারে ব্রীজের উপর সাঁকো তৈরী করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। উপজেলার নরসিংপুরবাজার-ঘিলাছড়া সড়কের রগার খালের উপর বাজারের সন্নিকটে নির্মিত পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে গেলে ২০১৬ সালে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নতুন সরো ব্রীজ নির্মাণ করে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর গত বছর পাহাড়ীঢলে ব্রীজের দুই দিকের মাটি সরে গেলে দুই তীরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত ছোট যান চলাচল এমনকি পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে শেমেষ স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে ব্রীজের দুই দিকে বাঁশ ও কাটের সাঁকো তৈরী করে চলাচল সুবিধা করে।
শ্রীপুর গ্রামের প্রবাসী ছমির উদ্দিন জানান, ব্রীজ নির্মাণের পর দুই দিকের মাটি সরে ব্রীজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে চাঁদা তুলে ব্রিজের উপর সাঁকো তৈরী করে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত দুই ইউনিয়নের মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকির মধ্যেই পারাপার হতে হচ্ছে।
সোনাইত্যা গ্রামের নোয়াব আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে ব্রিজের উপর সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পারাাপার হতে পারলেও বর্ষায় পাহাড়ীঢলের তোড়ে ব্রিজটি ভেঙ্গে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম পোগান্তিতে পড়বে কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
নরসিংপুর বাজারের ব্যবসায়ী মুক্তার আলী বলেন, নরসিংপুর ও বাংলাবাজার দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ একমাত্র সড়কের রগারখালের ওই ব্রিজটি নির্মাণ কাজের পরপরই দুই দিকের মাটি সরে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এলাকাবাসী ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই পারাপার হতে হচ্ছে ব্রিজ। বর্ষায় দুই তীরের মানুষদের ভোগান্তির অন্ত থাকবে না।
জানতে চাইলে নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ব্রিজের দুই দিকে মাটি ভরাট করে প্রটেকশন বাঁধ দেওয়ার জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।