কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথি আগামী রবিবার সকালে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
রায় প্রদানকারী ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বেঞ্চ সহকারী মোকাররম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিবার সকালে নথি পাঠানো হবে হাইকোর্টে।
এদিকে কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়ার জামিনসংক্রান্ত আবেদনটি হাইকোর্টের আগামী রবিবারের কার্যতালিকায় থাকবে বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনের আদেশ কবে দেয়া হবে জানতে চাইলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী রবিবার মামলাটি কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন।
গত ২৫ ফেব্র“য়ারি একই বেঞ্চে বিএনপি নেত্রীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। সেদিন আদেশ না দিয়ে নথি দেখে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন দুই বিচারপতি।
এর আগে গত ২২ ফেব্র“য়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি পাঠানোর আদেশ দেন। এই হিসাব অনুযায়ী ৭ মার্চ সময় শেষ হচ্ছে। তবে হাইকোর্টের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে ২৫ ফেব্র“য়ারি। সেই অনুযায়ী আগামী ১১ মার্চ রবিবার হবে ১৫ দিন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিশেষ জজ আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নেয়া হয় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে। তিনি সেখানেই বন্দি আছেন।
একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। তাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুখ হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন কারাগারে আছেন। বাকি তিনজন তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার উচ্চ আদালতে আপিল করতে ১১ দিন লেগে যায় রায়ের অনুলিপি পেতে বিলম্বের কারণে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরদিন উচ্চ আদালতে আপিল করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে।