হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসায় পড়–য়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে তুমুল ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বুধবার সকালে সরজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দিনারপুর পরগণার গজনাইপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত আছলাম মিয়ার পুত্র মুজিবুর রহমান (৬৫) এর সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ মিয়ার জায়গা সংক্রান্ত বিষয়াদী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার দুপুরে জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে মুজিবুর রহমান ও আব্দুল ওয়াহিদ এর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। খানিক্ষণ উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পরবর্তীতে স্থানীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে গত (মঙ্গলবার) আব্দুল ওয়াহিদ এর মেয়ে স্থানীয় উত্তর লামরোহ এবতেদায়ী মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রোকশানা আক্তার (১৬)কে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে আসেন তার পিতা আব্দুল ওয়াহিদ। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার আড়াইটার দিকে আমার মেয়ে রোকশানা আক্তার বাড়ির পাশবর্তী মাঠে গরু চড়াতে গেলে একই গ্রামের মুজিবুর রহমান(৬৫) তাকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে ধর্ষণ করেন। সে সময় আমার বোন মোছাঃ তখমিনা আক্তার রোকশানাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তিনি হামলার শিকার হয়ে আহত হন বলে তিনি অভিযোগ করেন। অপর দিকে বুধবার ধর্ষণের খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম আতাউর রহমান সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।