গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে বিদ্যুতায়নের মাষ্টার প্লানের কাজে অর্র্ধ কোটি টাকার দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশে প্রতিবেদকের অপপ্রচার করায় গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল আহাদসহ ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন সাংবাদিক সেলিম হাসান কাওছার।
২৫ ফেব্র“য়ারী রবিবার সাংবাদিক সেলিম হাসান কাওছার বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন নেয়াইকে প্রধান ও স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর প্রতিনিধি আব্দুল আহাদকে ২য় আসামী করে ৫জনকে অভিযুক্ত করে ৫০০/৫০১/৩৪ দন্ড বিধি ধারায় সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে অভিযোগ দাখিল করিলে মাননীয় আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর বিদ্যুতায়নের মাষ্টার প্লানের দুর্নীতির কারণে ৬৫/৭০টি পরিবার বিদ্যুৎ পাননি। সাধারণ জনগণ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস না পাওয়ার কারণে সাধারণ জনগণের অনুরোধে বাদী সরেজমিন অনুসন্ধান পূর্বক ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর স্থানীয় একটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ করেন। পরে আলোচিত ওই সংবাদটি ২০শে নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার রিপোর্টাররাও ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদের পত্রিকায় ঐ সংবাদ প্রকাশ করেন। জাতীয় ও বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় দুর্নীতির খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর বিবাদীরা তাদের এ অপরাধকে গা ঢাকা দিতে ১নং বিবাদী বাদী হয়ে সাংবাদিক কাওছারের বিরুদ্ধে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিভিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২২/১১/২০১৭ইং পিভিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। অতঃপর অত্র মামলার প্রধান বিবাদী নারাজি দাখিল করিলে বিজ্ঞ আদালত পুনরায় সি.আই.ডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ০৭/১২/২০১৭ ইং তারিখে পুনরায় সি.আই.ডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। উভয় প্রতিবেদন মিথ্যা হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত মামলাটি নথিজাত করেন। আর বিাদীরা তাদের এই ভিত্তিহীন মামলাকে পুঁজি করে মামলার বাদীর সামাজিক অবস্থানকে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক,অনলাইন পত্রিকায় বাদীর ছবি সহকারে বিভিন্ন অশালীন মানহানীকর বক্তব্য পোষ্ট করেন। এছাড়া বিগত ১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেট প্রেসক্লাবে বিবাদীগণ বাদীকে দালাল, চোর, দুর্নীতিবাজ, অবৈধ সাংবাদিক ইত্যাদি মর্মে সংবাদ সম্মেলন করেন। আর এই সংবাদ সম্মেলনের কপিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট পোষ্ট করে। ৫০ লাখ টাকার মানহানী মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপির কালাকোনা গ্রামের মৃত ফুরকান আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন নেয়াই গোলাপগঞ্জ সদর ইউপির চৌঘরী একাডুমা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ ১এর স্থানীয় পরিচালক আব্দুল আহাদ,একই ইউপির চৌঘরী গ্রামের মৃত আব্দুল লতিবের ছেলে আক্তার হোসেন, ঢাকাদক্ষিণ ইউপির দত্তরাইল গ্রামের মৃত সানোহর আলীর ছেলে গোলাম রসুল খান ছালিম, শাহপরান থানার উপশহর এলাকার ৬নং রোডের ১১৯ নং বাসার বাসিন্দা মছব্বির আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম খান কবির।