স্টাফ রিপোর্টার :
পুলিশ বাহিনী থেকে সোয়াতের আদলে গড়া সিআরটি (ক্রাইসিস রেসপন্স টিম) ২০ সদস্যের টিম সিলেটের নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে। তারা যেকোন সন্ত্রাস মোকাবেলায় দ্রুত পারদর্শী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে গঠিত এই স্পেশাল টিম সাধারণ পুলিশ টিমের চেয়ে একটু উন্নত। চিটাগাং খাগড়াছড়ি থেকে ৮ সপ্তাহের স্পেশাল কমান্ডো ট্রেনিংপ্রাপ্ত এই টিমের রয়েছে বিশেষ দক্ষতা। নিরাপত্তাজনিত যেকোন ক্রাইসিস মোকাবেলায় এরা দ্রুত পারদর্শী।
ট্রেনিং শেষে গত ২৩ জানুয়ারি সিলেটে যোগদান করেন এই ২০ সদস্যের এলিট ফোর্স। এ পর্যন্ত কোন অপারেশনে তাদের ডাক না পড়লেও আকস্মিক নিরাপত্তাজনিত যেকোন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এই টিম সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। ২০ সদস্যের এই টিমের কমান্ডার হিসেবে রয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার পলাশ রঞ্জন দে। তিনি জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের অধীনে এই স্পেশাল সিআরটি টিম যেকোন নিরাপত্তাজনিত ক্রাইসিসে সেবা দিতে প্রস্তুত। এই টিমটি অনেকটা ‘সোয়াত’ টিমের আদলে গড়া হয়েছে, দেওয়া হয়েছে স্পেশাল কমান্ডো ট্রেনিং।
এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব জানান, যেকোন ক্রাইসিস মোকাবেলায় দ্রুত পারদর্শী এই টিম সিলেটের নিরাপত্তায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তিনি জানান, এই টিম স্পেশাল ট্রেনিংপ্রাপ্ত এবং নিরাপত্তাজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত।
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ক্রাইসিসে ডাক না পড়লেও সিলেটে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সহকারী পুলিশ কমিশনার পলাশ রঞ্জন দে এর নেতৃৃত্বে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদারে সিআরটি টিমের উপস্থিতি দেখা গেছে। এর আগেও গত ৫ ফেব্র“য়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সিলেট সফরের সময় সার্কিট হাউজে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে এ সিআরটি টিমকে।
প্রসঙ্গ: ২০১৬ সালে গুলশান রেস্টুরেন্টে জিম্মির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সব বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিআরটি গঠন করা হয়েছিল।