ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে পরিবহন শ্রমিকদের সিলেট-সুনামগঞ্জ মহা সড়কের গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়াবাজার, দিরাই রাস্তা, পাগলাবাজারে প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই ওহিদ আলমের ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ অহেতুক হয়রানির প্রতিবাদে এ সড়ক অবরোধ পালন করে সড়কে চলাচলরত ৪টি ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে ট্রাক, অটো টেম্পু-অটো রিকশা, মাইক্রোবাস, হুইম্যানহুলারসহ ৪টি শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন শাখারা নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। নেতৃবৃন্দ টিএসআই ওহিদ আলমের বিরুদ্ধে গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে মামলা দিয়ে অহেতুক হয়রানী, চাঁদাবাজির অভিযোগ করে অভিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট থেকে গোবিন্দগঞ্জমুখি ঢাকা মেট্রো-চ, ১১-৯৭৭২ নং-একটি নোহা যাওয়ার পথে লামাকাজি পয়েন্টে আটক করেন সেখানের দায়িত্বরত ট্রাফিকের টিএসআই ওয়াহিদ। এর আগে সিলেট-চ-১১-০৩০৭ নং-একটি লাইটেস দুর্ঘটনা করে সিলেটে ওয়ার্কসপে মেরামতের জন্য যাওয়ার সময় ওই গাড়িটিও তিনি আটক করেন। গাড়ি দুটি আটক করার পর কাগজপত্র দেখার নামে ৩/৪ঘন্টা অহেতুক হয়রানীর অভিযোগে ও নোহা গাড়ি আটকের পর ছেড়ে না দেয়ায় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা ফুঁসে উঠেন। গোবিন্দগঞ্জে মাইক্রোবাস শাখার সভাপতি আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক আছবর আলীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় ৪টি ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জলাল আহমদ, মাসুক মিয়া, রায়হান আহমদ, আফরোজ জামান রাজু, রুবেল আহমদ, খালেদ আহমদ, মঈনুদ্দিন, নজির আহমদ, শাওন মিয়া, আজাদ মিয়া, তারেক আহমদ, লায়েক আহমদসহ আরো অনেকেই। দীর্ঘ এক ঘন্টা অবরোধ চলাকালে ছাতক, সুনামগঞ্জ ও সিলেট সড়কে শ’শ’ যাত্রীবাহি, মালবাহি ও বিভিন্ন ধরণের যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন যাত্রী সাধারণ। এ প্রতিবাদ ও সড়ক অবরোধের অংশ হিসেবে উপজেলার জাউয়াবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলাবাজার, দিরাই রাস্তাসহ গুরুত্বপূর্ন সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দের সহযোগিতায় অবরোধ কারিদের শান্তনা দিলে তারা তা প্রত্যাহার করে নেয়।