মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দলটির ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও পুলিশ কর্মকর্তা জখমসহ হুকুমদানের অভিযোগে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ ঘটনার পর থেকে শহর-শহরতলীতে বিএনপির নেতাকর্মীর বাসা-বাড়িতে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বুধবার রাতে বলেন, ‘সোমবার রাতে শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পুলিশ-পরিদর্শক মো. জাকারিয়া বাদি হয়ে এ মামলা করেন।’
ওই মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান, মো. তাজ উদ্দিন ওরফে হাতকাটা তাজু, আব্দুল কাদির, আজির উদ্দিন, আউয়ুবুর রহমানসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এমামলা রুজু হয়।
তার মধ্যে সোমবারের মিছিল থেকে গ্রেফতারকৃত তাজ উদ্দিন ওরফে হাত কাটা তাজু, আব্দুল কাদির, আজির উদ্দিন, আউয়ুবুর রহমানকে মঙ্গলবার বিকেলে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইতিমধ্যে গ্রেফতার এড়াতে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মগোপন করে আছেন। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বাসা বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। জেলা শহরসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করছে।
প্রসঙ্গত সোমবার শহরের চৌমুহনা চত্বরে বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার ওসি কেএম নজরুল ও কনস্টেবল মুজাহিদুল ইসলাম আহত হন।
মৌলভীবাজার সহকারী পুলিশ সুপার শ্রীমঙ্গল সার্কেল মো. খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিএনপি নেতাকমেীদের ঝামেলা করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে থানার ওসিসহ দুই পুলিশ আহত হন।’