জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

33

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সমিতির ২নং বার হলের ২য় তলায় লাইব্রেরী কক্ষে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির মোট ভোটার ১৩শ’ ৯৭ জন। নির্বাচনে মোট ১২টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ৫০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৪ জন, সহ-সভাপতি- ১ পদে ২ জন, সহ সভাপতি-২ পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ৪ জন, যুগ্ম সম্পাদকের ২টি পদে মোট ৪ জন, সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে ২ জন, সহ-সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে ২ জন, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে ২ জন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে ২ জন, সহকারী নির্বাচন কমিশনারের ২টি পদে মোট ৩ জন, সহ-সম্পাদকের ৩টি পদে মোট ৯ জন এবং ১১টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন ২০১৮ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন এডভোকেট মো. এমদাদুল হক। এছাড়া সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এডভোকেট মো. নুরুল আমিন ও এডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- আব্দুল গফফার, মো. জামিলুল হক জামিল, মো. মিনহাজ উদ্দিন খান ও মোহাম্মদ লালা।
সহ সভাপতি- ১ পদে মো. মোছলেহ উদ্দিন ও মো. শফি আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সহ সভাপতি-২ পদে মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. আলী হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পদের প্রার্থীরা হলেন- আনছারুজ্জামান, মো. আব্দুল কুদ্দুছ, মো. ওবায়দুর রহমান ও হোসেন আহমদ।
যুগ্ম সম্পাদকের ২টি পদে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থীরা হলেন- এন. আই. এম. মাছুম চৌধুরী, জোহরা জেসমিন, মো. সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার।
সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও রাশিদা সাঈদা খানম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সহ-সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. অহিদুর রহমান চৌধুরী ও মো. সোহেল মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
লাইব্রেরী সম্পাদক পদে মোছা. রাহিমা খানম রীমা ও সিরাজ উদ্দিন খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন) ও মো. আলিম উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সহকারী নির্বাচন কমিশনারের ২টি পদে মোট ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ পদের প্রার্থীরা হলেন- পান্না লাল দাস, মো. মখলিছুর রহমান ও মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান।
সহ সম্পাদকের ৩টি পদে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পদের প্রার্থীরা হলেন- ইমরান আহমদ, মো. আজমল হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ আল হেলাল, মো. বাবুল মিয়া, মো. রব নেওয়াজ রানা, মো. হেদায়েত হোসেন তানবীর, মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়া, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও রঞ্জু দেবনাথ।
নির্বাচনে ১১টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ পদের প্রার্থীরা হলেন- আব্দুল মালিক, এ.এস.এম. আব্দুল গফুর, এ. কে.এম. ফখরুল ইসলাম, কঙ্কন কুমার রায়, নোমান মাহমুদ, প্রহলাদ চন্দ্র দেব, মো. আখতার হোসেন খান, মো. আব্দুল ওদুদ, মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, মো. আব্দুল শহীদ, মো. ইতরাত হোসেন চৌধুরী, মো. মজিবুর রহমান, মোহাম্মদ ফজলুল রব ও সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ লালা ১১৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট আব্দুল গফফার পেয়েছেন ৭১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে এডভোকেট আব্দুল কুদ্দুছ ১৭৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট হোসেন আহমদ পেয়েছেন ১০২ ভোট।