স্টাফ রিপোর্টার :
দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রদলের মহানগর শাখার সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত শিমু (২৫) হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা বা কেউ গ্রেফতার হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহত শিমু শহরতলির টুলটিকর ইউনিয়নের আরামবাগ এলাকার ২২ নম্বর বাসার আব্দুল আজিজের পুত্র। তিনি ছাত্রদলের কাজী মেরাজ গ্র“পের নেতা বলে জানা গেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর আবুল হাসনাত শিমুর জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। শাহী ঈদগাহ ময়দানে এ জানাযা সম্পন্ন হয়। জানাযায় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিসিক কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ বিভিন্ন শ্রেণীর বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজায় অংশ নেন। শিমুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টায় তার দাফন সম্পন্ন হবে।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে দলীয় বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয় শিমুকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। জান্নাত নামে তাঁর ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। সে এখনো বাবার মৃত্যুর খবর জানেনা। এদিকে স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় শিমুর সহধর্মিনী এবং মা। তার স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরাও এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, গতকাল দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে নিহত শিমুর লাশ তার স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বা কাউকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।