জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে যেমন গ্রাম বাংলার মাঠ ঘাট ভরে উঠেছে সোনালী ফসলে। ঠিক তেমনি বিশ্বনাথের হাওর জুড়ে পাকা ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। গ্রামাঞ্চলের মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ দেখে কৃষি জীবী পরিবারের মুখে এখন ফুটে উঠেছে সেই মুধর হাসি। অকাল বন্যা আর প্রাকৃতিক বৈরিতার ফলে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন না হলেও, ভালো ফলনই হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা। ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই আর বোর ধানের বীজ তলা তৈরীতে ব্যস্ত থাকায় কিষাণ কিষাণীদের এখন দম ফেলার সময় নেই।
সরকারিভাবে সার ও বীজ বিতরণের ফলে এবার অকাল বন্যার পরও কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে দাবি করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী নূর রহমান বলেন, উন্নত জাতের ‘বিনা-৭, ‘বিআর-১১, ‘ব্রি ধান-৩২,৩৯, ৪৬, ৫১ ও স্থানীয় জাতের বাদাল, জল ডাঙ্গা, জরিসাইল, কালোজিরা, হাসিম, বিরুণ জাতের ধান চাষাবাদের ফলে এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে।
গত চৈত্র মাসের অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার কৃষক। সরকারিভাবে কৃষি উপকরণ বিতরণ আর বেসরকারিভাবে সহযোগীতার ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় স্থানীয় ও উন্নত জাতের ধান চাষাবাদ করেন তারা। বিশ্বনাথ ইউনিয়নের গন্ধার কাপন গ্রামের কৃষক মাষ্টার ইমাদ উদ্দিন, মোস্তাব আলী, দেওকলসের জগৎপুর গ্রামের কৃষক মধু মিয়া, রামপাশার পুরান গাঁওয়ের আশ্রব আলী ও আব্দুন নূরের দাবি, চলতি মৌসুমে প্রায় ১৭হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে।
তবে, উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবছর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৪১২হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে উপসী ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর ও স্থানীয় ৪ হাজার ৯৯২ হেক্টর, সব মিলিয়ে অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর। অন্যদিকে চলতিবছর ৭হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো’র বীজতলা তৈরী সম্পন্ন করা হয়েছে।