কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
জমি সংক্রান্ত বিরোধের মামলায় আদালতে বড় ভাইয়ের পক্ষে সাক্ষী দেওয়ায় প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বশির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে মাদকদ্রব্য রেখে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসাতে গিয়ে ঘটনার মূল নায়ক নিজেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কানাইঘাট সদর ইউপির চটিগ্রামে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বিলাল আহমদের সাথে তার ভাই নুরুল হকের মামলা চলছে। নুরুল হকের দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী একই গ্রামের বশির উদ্দিন সম্প্রতি আদালতে বিলাল আহমদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেন। এতে বিলাল আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে বশিরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। কিভাবে বশিরকে মামলা দিয়ে ফাঁসানো যায় সেই চক্রান্তে লিপ্ত হন বিলাল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বুধবার গভীর রাতে বিলাল আহমদ ও তার সহযোগী একই গ্রামের হারুন আহমদ ৭৫০ মি.লি ভারতীয় ১৪ বোতল অফির্সাস চয়েজ মদ বশির উদ্দিনের রাইস মিলের পিছনের টিনের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে পরিত্যাক্ত টিনের নিচে ২টি চটের বস্তায় বেঁধে সেখানে মাদকদ্রব্য রেখে দেয়। বশিরের রাইছ মিলে মাদকদ্রব্য রয়েছে এমন সংবাদ ঘটনার পরিকল্পনাকারী হারুন আহমদ মোবাইল ফোনে বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদের নির্দেশে এস.আই পান্না লাল দে ও এএসআই সামছুল আরেফিন ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান সংবাদ বাহক হারুন আহমদ বশির উদ্দিনের রাইছ মিলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ বন্ধ থাকা অবস্থায় রাইছমিলের মালিক বশির উদ্দিনকে ডেকে এনে রাইছমিল খুলেন। এ সময় হারুন আহমদ লুকিয়ে রাখা মাদকের চটের বস্তাগুলো এস.আই পন্না লাল দে কে দেখিয়ে দেয়। মাদকদ্রব্য রেখে বশির উদ্দিনকে ফাঁসানোর চক্রান্ত সন্দেহ হলে পুলিশ সাথে সাথে হারুন আহমদকে আটক করে। পরে তার মোবাইলের কল লিষ্ট দেখে ঘটনার মূলহোতা বিলাল আহমদকে এস.আই পান্না লাল দে কৌশলে ডেকে এনে তাকে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাদক দ্রব্য রেখে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সংগোপনে ঘরে প্রবেশ করত পুলিশকে মিথ্যা তথ্য উদ্ভাবন করিয়া প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করার অপরাধে বিলাল আহমদ ও হারুন আহমদকে আসামী করে থানার এস.আই মোঃ হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং- ১৬ তাং ৩০-১১-১৭। ধৃত আসামীদের গতকাল শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।