নিজাম নুর জামালগঞ্জ থেকে :
সরকারী ওএমএসের চাল পাচারকারী ফেনারবাকের ডিলার সুব্রত পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা মামলা দায়ের করা হয়েছে ও তার ডিলারশীপ বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ।
পাচার হওয়া জব্দকৃত ২০ বস্তা চাল ইতিমধ্যে জামালগঞ্জ থানার হেফাজতে ও বাকী বিক্রয় সেন্টারের জব্দকৃত ২০ বস্তা চাল খাদ্য বিভাগের আওতাধীন আনার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য গত সোমবার উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়ন ওএমএস ডিলার সুব্রত পুরকায়স্থ সোমবার দুপুরে ডিও’র মাধ্যমে ৩মে: টন ৫০কেজি প্রতি বস্তায়,৬০ বস্তা চাল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে ৪০ বস্তা বিক্রয় সেন্টারে নিলেও বাকী ২০বস্তা চাল পাচারের উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ী রহিমের অভি ষ্টোরে রেখে দেন। সুবিধা মত সময়ে পরে চাল গুলি পাচার করার জন্য।
পাচারের খবর পেয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের কারেন্টের বাজারের মের্সাস অভি ষ্টোরে থাকা চাল গুলি স্থানীয় এলাকাবাসী ও দুজন ইউপি সদস্য আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও জামালগঞ্জের ওসি এলএসডি গিয়ে চাল গুলি জব্দ করে স্থানীয় মেম্বারদের জিম্মায় রাখেন। এলাকাবাসী চাল আটক করেছে খবর পেয়ে জামালগঞ্জের কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনা স্থলে পৌছানোর পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ডিলার ও সহযোগীরা।
সরকারী ওএমএসের চাল পাচারের ঘটনায় ডিলারের শাস্তির দাবীতে ফেনারবাক ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে ফেনারবাক গ্রামের মৃত হাজী উসমান গনির ছেলে একলিমুর রেজা চৌধুরী।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ খাদ্য কর্মকর্তা মো: আব্দুর রউফ বাদী হয়ে ডিলার সুব্রত পুরকায়স্থ ও ঘরের মালিক আ: রহিমকে আসামী করে জামালগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে জামালগঞ্জ থানা বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়।
জামালগঞ্জ থানার এসআই সাইফুল্লাহ আকন্দ বলেন, আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে, জব্দকৃত মালামাল গুলো জামালগঞ্জ থানা আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ খাদ্য গোদামের ওসি এলএসডি অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ওএমএসের চাল পাচারের ঘটনায় সুব্রত পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তার ডিলারশীপও বাতিল করা হয়েছে।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল হাশেম বলেন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেনারবাকের ডিলার সুব্রত পুরকায়স্থ ও দোকান মালিক আ: রহিমের নামে মামলা দায়ের হবার খবর নিশ্চিত করেন।