ডিসিদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে এটা প্রয়োগ করা প্রয়োজন – পরিকল্পনামন্ত্রী

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) হাতে যথেষ্ট দায়িত্ব ও ক্ষমতা আছে। এটাকে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। সেজন্য ব্রিটিশ ধারণার ইনস্পেকশন প্রয়োজন নেই। তারা প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে যাবে, ওভার সি করবে, সেটা আরও বেশি করে করার জন্য ডিসি সাহেবদের অনুরোধ করেছি।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করলে পরিকল্পনামন্ত্রী ডিসিদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি নিজেই এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, তিনি ডিসিদের বলেছেন, আপনারা ডিসি, এলাকার কাজ দেখার অধিকার আপনাদের আছে। আমরা আপনাদের (ডিসি) সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ করি, চিঠি দিই। সে অনুযায়ী আপনারা কাজ করবেন। আর কিছু প্রয়োজন হলে আমরা তো আছি। আমিও ডিসি ছিলাম। আমি মনে করি, কমিটি করার প্রয়োজন নেই। কমিটি গঠন ছাড়াই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তদারকি চালিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান আইনেই জেলা প্রশাসকদের উন্নয়ন প্রকল্প দেখভালের দায়িত্ব আছে। জেলায় কমিটি গঠন বিষয়ে তিনি জানান, আমি ডিসিদের বলে দিয়েছি, এটা তো অলরেডি বিধান আছে। জেলা প্রশাসকরা তাদের এলাকায় যেসব প্রকল্প আছে সেগুলো দেখতে পারেন। দেখা মানে কিন্তু ইনস্পেকশন নয়, ইনস্পেকশন শব্দটা ভয়ংকর। পরিদর্শন অর্থে বলেছি। যাওয়া আসা খোঁজখবর নেওয়া। সেটাকে আমরা আন্ডারলাইন করেছি। সরকারি প্রকল্পে বিদেশি ঋণ বোঝাতে ‘সহায়তা’ শব্দটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের বৈঠকে সচেতন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সহায়তা’ শব্দটা যেন সাবধানে ব্যবহার করা হয়। সেদিকে আমি আজকে জোর দিয়েছি। এটা শুনলে মনে হয় খয়রাতি। আসলে সহায়তা সেই অর্থে আর নেই। উন্নয়ন বাজেট সম্পর্কে বলতে পারি, আমরা ঋণ হিসেবে বড় একটা অংশ নিই। সহায়তা মাঝে মাঝে আসে, সেটা ১-২ শতাংশও হবে না। বড় বড় সংস্থা নিজেদের প্রয়োজনেই এগিয়ে আসেন। বৈঠকে সরকারি প্রকল্পগুলোর জন্য ভূমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ডিসিদের সহায়তা আইনগতভাবেই প্রয়োজন। প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরির একটি কারণ ভূমি অধিগ্রহণ।
এম এ মান্নান বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আইএমইডির কার্যালয় করার ব্যাপারে আমাদের সরকারপ্রধানের একটা নির্বাহী আদেশ আছে। আইএমইডির স্থাপনা যেন মাঠ পর্যায়ে তৈরি করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে আমরা অফিস করবো। সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য আমরা বিভাগীয় প্রধানের সহায়তা চেয়েছি। আইএমইডিকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান আছে।