কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কানাইঘাট চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার থেকে ডিবি পুলিশের সহায়তায় কানাইঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। নানা প্রলোভন দিয়ে স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় ঐ ছাত্রী গত ১৩ অক্টোবর কানাইঘাট থানায় বাদী হয়ে গণিতের শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এরপর থেকে ঐ শিক্ষক স্কুল ছেড়ে পলাতক ছিলেন। এ নিয়ে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে স্কুল থেকে বহিষ্কার তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চরিপাড়া স্কুর এন্ড কলেজের সুনাম ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সাতবাঁক সচেতন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। অপর দিকে শিক্ষককে নির্দোষ দাবী করে ও চড়িপাড়া স্কুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে স্কুলের প্রাক্তন কিছু শিক্ষার্থী এলাকায় পাল্টা মানববন্ধন সহ স্থানীয় প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রেরণ করলে এ নিয়ে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে বিরোপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে বিষটি শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। শেষ পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই আবু কাউছার গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এস.এ পরিবহনের সামনে থেকে সিলেট ডিবি পুলিশের সহায়তায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে কানাইঘাট থানায় নিয়ে আসেন। গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে জেল হাজতে পাটিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আবু কাউছার জানিয়েছেন, ভিকটিম ছাত্রী মেয়েটির ডাক্তারী রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। আরো অধিকতর তথ্য উদঘাটনের জন্য গ্রেফতারকৃত শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে পুলিশি রিমান্ড চাওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।