এক যুগ পর আবারো সুরমা নদীর তীরে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান

91

স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘ এক যুগ পর আবারো অভিযান চালানো হয়েছে নগরীর সুরমা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনায়। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময় অত্যাধুনিক বোলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় নদীর তীরে গড়ে তোলা ১৫টি দোকান।
এ সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ২০০৪ সালে তৎকালিন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের নির্দেশে সুরমা নদীর দুই পার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নির্মাণ করা হয় ওয়াক ওয়ে। তিনি বলেন, এতো গুলো বছর পার হলেও নদীর পারে এতো দিন কেউ দখল করে দোকান-ঘর বসায়নি। মেয়র বলেন, কারাগারে আমি যখন বন্দি ছিলাম এই সুযোগে অবৈধ দখলদাররা আবারো নদীর পাড়ে দোকান-ঘর স্থাপন শুরু করে। তিনি বলেন, এখানে আর কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া হবেনা। আগের ওয়াক ওয়ের সাথে সংযোগ করে এখানে নির্মাণ করা হবে ওয়াক ওয়ে। বাড়বে নদীর পারের সৌন্দর্য্য। এর আগে মেয়র নগরীর বিলপারে গাভিয়ার খাল, ছড়া ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, রকিবুল ইসলাম জলক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি আফসার আজিজসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র নগরীর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের রাস্তার উপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এছাড়া নগরীর নবাব রোড, শেখঘাট এলাকার রাস্তার উপর গড়ে উঠা অবৈধ দোকান-ঘর উচ্ছেদ করেন তিনি। মেয়র জানান, নগরীর ছড়া-খাল সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব, সচিব বদরুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।