সিলেটে ইন্দিরা গান্ধী জন্মশতবর্ষ উদযাপন

33

বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মশতবর্ষ উৎসব পালন করেছে ইন্দিরা গান্ধী জন্মশতবর্ষ উদযাপন পর্ষদ, সিলেট। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় সারদা হলের সম্মিলিত নাট্য পরিষদের মহড়া কক্ষে পর্ষদের আহবায়ক অম্বরীষ দত্তের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা’র পরিচালনায় উৎসবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক তুষার কর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম।
উৎসবের শুরুতে অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর পরিচালনায় সম্মেলক কন্ঠে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করা হয়। ইন্দিরা গন্ধীকে নিয়ে লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন সৈয়দ সাইমুম আনজুম ইভান ও ফাহমিদা সুলতানা সুচি।
সভায় বক্তারা ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যে দেশের বাইরে যদি কারো কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে হয় সর্বাগ্রে যে নামটি আসবে তিনি হলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। মানব দরদি, অসম সাহসী এই বিশ্ব নেতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে উপ মহাদেশের শান্তি ও মৈত্রি স্থাপনে তাঁর ভূমিকা ছিলো অপরিসিম। বর্তমান দু:সময়ে তরুণ প্রজন্মকে ইন্দিরা গান্ধীর জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে মানবতার জন্য রাজনীতি করতে হবে। নিপীড়িত ও বঞ্চিত অধিকার হারা মানুষের কল্যাণে ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন দৃঢ়চেতা। আধুনিক, বিজ্ঞান মনস্ক, সংস্কৃতিমনা ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের দু:সময়ে যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের অগ্রগতীতে যে দূরদর্শী ভূমিকা রেখেছেন তা সুবিদিত। বিজ্ঞপ্তি